নিউইয়র্ক: বাস্থ্য সেবার মান উন্নয়নের, বেতন-ভাতা ও জনবল বাড়ানোসহ নানা দাবিতে তৃতীয় দিনের মত ধর্মঘট করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের দুইটি হাসপাতালের নার্সরা। বুধবার (১১ জানুয়ারি) আন্দোলনে একাত্মতা প্রকাশ করেন নিউইয়র্ক স্টেট অ্যাসেম্বলি- উইমেন এবং সিটির কেন্দ্রীয় লেবার কাউন্সিলের প্রেসিডন্ট। আন্দোলনকারীরা জানিয়েছেন, ধর্মঘট চললেও হাসপাতালে জরুরি স্বাস্থ্য সেবা দেয়া অব্যাহত আছে।
নিউইয়র্কের ব্রঙ্কসের মন্টেফিওর মেডিকেল সেন্টারের মোজে ক্যাম্পাসে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন নার্সরা। বেতন ও জনবল বাড়ানো ও স্বাস্থ্যসেবার মান উন্নয়নের দাবিতে তিন দিন ধরে নজিরবিহীন এ ধর্মঘট চলেছে। ম্যানহাটানের মাউন্ট সিনাই হাসপাতালের নার্সরাও আন্দোলন করছেন। দুইটি হাসপাতালের সাত হাজারের বেশি নার্স সোমবার (৯ জানুয়ারি) থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘট শুরু করেন। এতে হাসপাতালগুলোর স্বাভাবিক কার্মক্রম ব্যাহত হচ্ছে।
বুধবার (১১ জানুয়ারি) সমাবেশে যোগ দিয়ে তাদের দাবি শোনেন নিউইয়র্কের স্টেট অ্যাসেম্বলিওমেন আমান্ডা সেপটিমো এবং নিউইয়র্ক সিটি কেন্দ্রীয় লেবার কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট ভিনসেন্ট আলভারেজ। তারা নার্সদের দাবির সাথে একাত্মতা ঘোষণা করেন।
অতিমারী করোনা মহামারি পরবর্তী যুক্তরাষ্ট্রে হঠাৎ করেই বেড়ে গেছে রোগবালাই। হাসপাতালগুলোতে রোগী ভর্তি হচ্ছে আগের চেয়ে অনেক বেশি। বেড়েছে নার্সদের কাজের চাপও। অন্য দিকে, করোনা ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বেড়েছে জীবনযাত্রার ব্যয়ও। এমন পরিস্থিতিতে বেতন-ভাতা বাড়ানো ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধার দাবিতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা শুরু করেন নার্সরা। আলোচনা ফলপ্রসূ না হওয়ায় তারা বাধ্য হয়ে ধর্মঘটের সিদ্ধান্ত নেন।
এ দিকে, নিউইয়র্ক সিটি মেয়র এরিক অ্যাডামস বলেছেন, ‘পুরো পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। চলমান এ ধর্মঘটের কারণে যাতে স্বাস্থ্য সেবা ব্যাহত না হয়, সে দিকে খেয়াল রাখছে স্থানীয় প্রশাসন।’
এ ছাড়া নার্সদের আংশিক দাবি মেনে নিতে আলোচনায় সম্মত হয়েছে মন্টেফিওর হাসপাতাল। তারা ১৯ শতাংশ বেতন বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছে নার্সদের। নেয়া হয়েছে নতুন নার্স নিয়োগের সিদ্ধান্তও।