বুধবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪

শিরোনাম

নিউইয়র্কে সিলেট এমসি অ্যান্ড গভ কলেজ এলামনাই এসোসিয়েশন ইউএসএর বনভোজন

শুক্রবার, আগস্ট ২৫, ২০২৩

প্রিন্ট করুন

নিউইয়র্ক, যুক্তরাষ্ট্র: যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে উৎসবমুখর ও আনন্দঘন পরিবেশে হয়েছে সিলেট এমসি অ্যান্ড গভ. কলেজ এলামনাই এসোসিয়েশন অব ইউএসএ ইনকের বার্ষিক বনভোজন। রোববার (২০ আগস্ট) এস্টেরিয়া পার্কের খোলা মাঠে অনুষ্ঠিত এ বনভোজনে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত কলেজটির প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রীরা তাদের পরিবার পরিজন নিয়ে নানা আনন্দ উপভোগ করেন। মেতে ওঠেন বর্ণাঢ্য আয়োজনে। বনভোজনে কলেজের প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রীরা ছাড়াও বৃহত্তর সিলেটের বিপুল সংখ্যক প্রবাসী যোগ দেন। সিলেট এমসি অ্যান্ড গভ. কলেজের প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রীদের মিলন মেলায় পরিণত হয় এই বনভোজন। দীর্ঘ দিন পর সদস্যরা একত্রিত হওয়ার সুযোগে মেতে ওঠেন আলাপচারিতায়।

দুপুরে সম্প্রীতি ও সৌহার্দপুর্ণ পরিবেশে বনভোজনের উদ্বোধন করা হয়। সংগঠনের সভাপতি সফিক উদ্দীন চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ রেজাউল করিম রেজুর পরিচালনায় এ সময় কোরআন থেকে তিলাওয়াত করেন কোষাধ্যক্ষ মোহাম্মদ আকমল হেসেন খান। দোয়া পরিচালনা করেন সহ সভাপতি দেওয়ান সাহেদ চৌধুরী। তার পর পরিবেশন করা হয় যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত।

অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন বাংলাদেশ সরকারের প্রাক্তন অতিরিক্ত সচিব মো. আব্দুর রউফ (১৯৭৪-৭৫ শিক্ষা বর্ষ এমসি কলেজ), রতন টাটা গ্রুপের সাবেক ম্যানেজার ও স্ট্যান্ডার্ড ব্যংকের জিএম সালেহ আহমেদ ফারুকী (১৯৬৭-৬৮ শিক্ষা বর্ষ এমসি কলেজ), সংগঠনের সহ সভাপতি আজিমুর রহমান বোরহান, সিনিয়র ট্রাস্টি ও প্রতিষ্ঠাকালীন সভাপতি বীর মুক্তিযুদ্ধা আবদুল মুকিত চৌধুরী, ট্রাস্টি মনজুর চৌধুরী, সাবেক ট্রাস্টি বেদারুল ইসলাম বাবলা এবং এমএ সালাম, সাবেক সভাপতি বেলাল উদ্দীন, মাহফুজুর রহমান বারী (বাংলাদেশ জীবন বীমা অফিসের জিএম), সাবেক নির্বাচন কমিশনার মইনুল হক চৌধুরী হেলাল, অনুষ্ঠানের গ্র্যান্ড স্পনসর আমেরিকান এটর্নি ভিলেমার ও তার স্ত্রী এবং অফিস ম্যানেজার নাজিয়া জাহা।

এটর্নি ভিলেমার বলেন, ‘দুর্ঘটনায় পতিতদের তিনি আইনি সহায়তা প্রদান ও সর্বোচ্চ ক্ষতিপুরণ আদায় করে থাকেন।’

এলামনাই সদস্যদেরকে বিশেষ গুরুত্ব দিবেন বলে তিনি প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন।

অনুষ্ঠানে এটর্নি ভিলেমার উপস্থিত সবাইকে তার প্রতিষ্ঠানের নাম ও লগো সম্বলিত টি-শার্ট উপহার দেন।

বর্ণাঢ্য এই আয়োজনে ছিল স্মৃতিচারণ, খেলাধুলা, র‌্যাফেল ড্র, সাংস্কৃতিক পরিশেনা ইত্যাদি। খেলাধুলায় নারীদের জন্য ছিল মিউজিক্যাল পিলো, ছেলে-মেয়েদের জন্য ছিল নানা রকমের খেলা। দুপুরে অতিথিদের পরিবেশন করা হয় গোল্ডেন প্যালেস পার্টি হল ক্যাটারিং থেকে আনা সুস্বাদু খাবার। সঙ্গীত পরিবেশন করেন কলেজের সাবেক ছাত্র ফারুক সিদ্দীকি।

র‌্যাফেল ড্রতে প্রথম পুরস্কার ছিল নগদ এক হাজার ডলার, দ্বিতীয় পুরস্কার ৬৫ ইঞ্চি টেলিভিশন, তৃতীয় পুরস্কার আইপ্যঅডসহ মোট আটটি আকর্ষণীয় পুরস্কার।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত এমসি ও সরকারী কলেজের প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রীদের অনেকে সদস্য ফর্ম পূরণ করে সংগঠনের সাধারণ সদস্য পদ নেন।

নিষ্ঠা, সততা আর অক্লান্ত পরিশ্রমের মাধ্যমে বনভোজনকে সফল করে তোলার জন্য সংগঠনের পক্ষ থেকে মোহাম্মদ রেজাউল করিম রেজু, বনভোজন উপকমিটির আহ্বায়ক মামুনুর রশীদ শিপু, সদস্য আজিমুর রহমান বোরহান, দেওয়ান শাহেদ চৌধুরী, সাখাওয়াত আলী, আরসি টিটুকে ধন্যবাদ জানান সফিক উদ্দীন চৌধুরী।

তিনি বলেন, ‘সকলের ঐকান্তিক সহযোগিতায় সৌহার্দপূর্ণ পরিবেশের এ পিকনিক আয়োজন সম্ভব হয়েছে।’

অন্য বক্তারা সিলেট এমসি অ্যান্ড গভ. কলেজের গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকার কথা তুলে ধরে স্মৃতিচারণ করেন।

তারা বলেন, ‘ঐতিহ্যবাহী এ কলেজের ছাত্র-ছাত্রীরা জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখে চলেছেন।’

প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রীরা যার যার অবস্থান থেকে দেশ ও প্রবাসের কল্যাণে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। তারা আয়োজকদের প্রতি কৃতজ্ঞা প্রকাশ করেন- এমন সুন্দর আয়োজনের জন্য।