শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪

শিরোনাম

পরিবেশ বিপর্যয়ের কারণে শিশুদের স্বাস্থ্য ঝুঁকি বাড়ছে

বৃহস্পতিবার, ফেব্রুয়ারী ১৬, ২০২৩

প্রিন্ট করুন

ঢাকা: আজ বৃহস্পতিবার ১৫ ফেব্রুয়ারি বিশ্ব শিশু ক্যান্সার দিবস। এ উপলক্ষে জাতীয় রোগী কল্যাণ সোসাইটির উদ্যোগে পল্টনের প্রীতম জামান টাওয়ারের চতুর্থ তলায় ‘শিশুদের ক্যান্সার প্রতিরোধে চাই সচেতনতা’ শীর্ষক আলোচনা সভার অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা সদস্য মুহাম্মদ সাইফুল ইসলামের সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি ছিলেন সংগঠনের পরিচালনা পরিষদের চেয়ারম্যান বাপ্পি সরদার। উদ্বোধন করেন প্রত্যাশার বাংলাদেশ’র চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল মামুন। প্রধান আলোচক ছিলেন সোসাইটির চেয়ারম্যান ডাক্তার মাহতাব হোসাইন মাজেদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন দ্যা ফিন্যান্স টুডের সম্পাদক মতিউর রহমান, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক উপ কমিটির সদস্য আবু বকর সিদ্দিক, দৈনিক আমার বার্তার নিউ এডিটর সৈয়দ রিফাত সিদ্দিকী।

সভায় বাপ্পি সরদার বলেন, ‘সাম্প্রতিককালে দেখা গেছে, পুরো বিশ্বে পরিবেশ বিপর্যয়ের ফলে শিশুদের ক্যান্সারের আক্রান্তের সংখ্যা আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে। গবেষণায় দেখা গেছে, প্রতি বছর তিন লাখ শিশু নতুন করে ক্যান্সারে আক্রান্ত হচ্ছে। পৃথিবীব্যাপী শিশু মৃত্যুর অন্যতম একটি কারণ ক্যান্সার।’

মাহতাব হোসাইন মাজেদ বলেন, ‘যে সব শিশু ক্যান্সারে আক্রান্ত হচ্ছে, তার বেশির ভাগই নিম্ন ও মধ্যম আয়ের। ক্যান্সারের হাত থেকে শিশুদের বাঁচাতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও বাংলাদেশ সরকারকে বিশেষায়িত কর্মসূচি নিতে হবে। তাহলে ২০৩০ সালের মধ্যে কমপক্ষে দশ লাখ শিশুর জীবন বাঁচানো সম্ভব হবে। উচ্চ আয়ের দেশগুলোর তুলনায় মধ্য ও নিম্ন আয়ের দেশে ক্যান্সারে আক্রান্ত শিশুদের মৃত্যুর হার চারগুণ বেশি। কারণ, মধ্য ও নিম্ন আয়ের দেশে রোগ নির্ণয়ে দেরি করা হয় ও বেশির ভাগ ক্ষেত্রে পরিবারের পক্ষে চিকিৎসা চালিয়ে যাওয়া সম্ভব হয় না। পাশাপাশি অভিজ্ঞ ও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের অভাব তো রয়েছেই। ২০২২ সালে প্রায় এক লাখ মানুষ ক্যান্সর রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে। ফুসফুসে, প্রোস্টেট, কোলোরেকটাল, পেট ও লিভার ক্যান্সার পুরুষদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি দেখা যায়। অন্য দিকে, জরায়ুমুখ, স্তন, কোলোরেকটাল, ফুসফুস, থাইরয়েড ক্যান্সার মহিলাদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি লক্ষ্য করা যায়। তবে, শিশুদের মধ্যে লিউকোমিয়া, মস্তিষ্কের ক্যান্সার, লিম্ফোমা, নিউ টিউব্লাস্টোমা ও উইলমস টিউমারের মত কঠিন টিউমারজনিত ক্যান্সারে আক্রান্তের সংখ্যাই বেশি।’

তিনি আরো বলেন, ‘উচ্চ আয়ের দেশে ক্যান্সারে আক্রান্ত ৮০ শতাংশের বেশি শিশুর ক্যান্সার নিরাময় করা হলেও মধ্য ও স্বল্প আয়ের দেশে এ হার ২০ শতাংশের বেশি নয়। তবে, সঠিক সময়ে প্রয়োজনীয় ওষুধপত্র, সার্জারি ও রেডিওথেরাপিসহ অন্যান্য চিকিৎসা নিশ্চিত করতে পারলে শিশু ক্যান্সার নিরাময় সম্ভব। অন্য দিকে, রোগ নির্ণয়ে ভুল বা দেরি, মাঝপথে চিকিৎসা ছেড়ে দেয়া, পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া, প্রয়োজনীয় চিকিৎসা ও সেবা না পাওয়ার কারণে এ রোগে মৃতের সংখ্যা বাড়ছে।’

সভায় ক্যানভাস প্রপার্টিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সালাউদ্দিন মিঠু, সবুজ আন্দোলন কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী পরিষদের সদস্য জামিল আহমেদ, দ্যা ফিন্যান্স টুডের নিউজ এডিটর সাফিন আহমেদ, জাতীয় রোগী কল্যাণ সোসাইটির সদস্য তানভীর আহমেদ, সালমা আক্তার, সফিকুল ইসলাম সায়েম ‍উপস্থিত ছিলেন।