নিউইয়র্ক সিটি, যুক্তরাষ্ট্র: যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের ম্যানহাটনে বাংলাদেশের রাইড শেয়ারিং প্রতিষ্ঠান পাঠাওয়ের সহপ্রতিষ্ঠাতা ফাহিম সালেহ হত্যাকাণ্ডে তার প্রাক্তন সহকারী টাইরেস হাসপিল (২৫) দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন। সোমবার (২৪ জুন) ম্যানহাটন সুপ্রিম কোর্টের জুরিবোর্ড এ সিদ্ধান্তের কথা জানান। সংবাদ নিউইয়র্ক পোস্টের।
আদালতে হাসপিল দাবি করেছেন, তিনি তার প্রেমিকাকে আকৃষ্ট করার জন্য বিভিন্ন উপহার কিনতে ফাহিমের অর্থ চুরি করেছিলেন। পরে সেই ঘটনা আড়াল করতেই এ হত্যাকাণ্ড ঘটান। তবে, বিচারক হাসপিলের এ দাবি প্রত্যাখ্যান করেছেন।
ফাহিম সালেহের চার লাখ মার্কিন ডলার চুরি করেছিলেন হাসপিল। অর্থ চুরির ঘটনা লুকাতে ফাহিমকে খুনের পর ইলেকট্রিক করাত দিয়ে দেহ খণ্ডিত করা হয়। এ কারণে হাসপিলকে ‘ফার্স্ট-ডিগ্রি’ খুনের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে।
বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক ফাহিম সালেহ পাঠাওয়ের সহপ্রতিষ্ঠাতা ও তথ্য প্রযুক্তি খাতের উদ্যোক্তা ছিলেন। নাইজেরিয়াভিত্তিক স্কুটার স্টার্টআপ গোকাদা প্ল্যাটফর্মের প্রধান নির্বাহী ছিলেন তিনি।
নিউইয়র্কের নিজ অ্যাপার্টমেন্টে ২০২০ সালের ১৩ জুলাই খুন হন ফাহিম। ওই ঘটনায় তখন তার ব্যক্তিগত সহকারী টাইরেস হাসপিলকে গ্রেফতার করা হয়। ফাহিম হত্যাকাণ্ডে হওয়া মামলায় নিউইয়র্কের ম্যানহাটনের একটি আদালতে ২০২০ সালের ১৩ অক্টোবর হাসপিলের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে বিচার শুরু হয়।
আইনজীবীরা বলেছেন, ‘ফাহিমকে ঠান্ডা মাথায় খুন করেন হাসপিল। আদালতে তিনি অপরাধ স্বীকার করেছেন।’
তবে, হাসপিলের আইনজীবীরা আদালতে যুক্তি দিয়েছেন, হাসপিল মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন। এ জন্য তারা হাসপিলকে কম সাজা দেয়ার আবেদন জানিয়েছেন। কিন্তু জুরিবোর্ড তাদের দাবি নাকচ করে দিয়েছেন।
আগামী ১০ সেপ্টেম্বর এ মামলায় হাসপিলের সাজা ঘোষণার দিন ধার্য করা হয়েছে। তার ২৫ বছর থেকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হতে পারে।