রবিবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪

শিরোনাম

পাশে থাকায় বাইডেনের প্রশংসায় নেতানিয়াহু

সোমবার, ডিসেম্বর ২৫, ২০২৩

প্রিন্ট করুন

ওয়াশিংটন/তেল আবিব, যুক্তরাষ্ট্র/ইসরায়েল: ফিলিস্তিনের গাজায় চলমান ইসরায়েলের হামলায় মৃতের সংখ্যা ২০ হাজার ছাড়িয়েছে। যাদের বেশির ভাগই শিশু ও নারী। এরপরও এই যুদ্ধের ইস্যুতে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে বরাবরই ইসরায়েলের পাশে ছিল যুক্তরাষ্ট্র। এই ইস্যুতে পাশে পেয়ে শনিবার (২৩ ডিসেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশংসা করেছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। বাইডেনের সাথে ফোনালাপে এসব প্রশংসাবাক্য উচ্চারণ করেন তিনি। খবর আরব নিউজ, রয়টার্সের।

এই ফোনালাপের পর প্রকাশিত বিবৃতিতে নেতানিয়াহু জানিয়েছেন, সব উদ্দেশ্য পূরণ না হওয়া পর্যন্ত ইসরায়েল এই যুদ্ধ চালিয়ে নেবে।

বিবৃতিতে নেতানিয়াহু আরো বলেছেন, ‘তিনি প্রেসিডেন্ট বাইডেন এবং ফ্রান্স, ব্রিটেন ও পৃথিবীর অন্যান্য নেতাদের সাথে কথা বলেছেন। তিনি বাইডেনকে বাইডেনকে তার ‘নিঃশর্ত সমর্থনের’ জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন।’

বিবৃতিতে নেতানিয়াহু দাবি করেন, ‘তিনি ইসরায়েল যা করছে, তা করার জন্য আন্তর্জাতিক সমর্থন পেয়েছেন।’

ভারত মহাসাগরে রাসায়নিক একটি ট্যাংকারে ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইরান। শনিবার (২৩ ডিসেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা দপ্তর এই দাবি করেছে। ওই ঘটনায় বিস্ফোরণের পর অগ্নিকাণ্ড ঘটলেও কেউ হতাহত হয়নি।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় পেন্টাগনের এক মুখপাত্র বলেন, ‘লাইবেরিয়ার পতাকাবাহী, জাপানের মালিকানাধীন ও নেদারল্যান্ডসের পরিচালিত রাসায়নিক ট্যাংকারটি শনিবার (২৩ ডিসেম্বর) সকাল দশটার দিকে হামলার শিকার হয়। ঘটনাস্থলটি ভারতের উপকূল থেকে ২০০ নটিক্যাল মাইল দূরে।

পেন্টাগন বিবৃতিতে বলেছে, ‘২০২১ সাল থেকে বাণিজ্যিক জাহাজে এটি ইরানের সপ্তম হামলার ঘটনা।’

লাইবেরিয়ার পতাকাবাহী রাসায়নিক/পণ্যের জাহাজটি ইসরায়েলে পণ্য আনা-নেয়া করে। হামলায় জাহাজের কিছু কাঠামোগত ক্ষতি হয়েছে ও পাটাতনে পানি ঢুকেছে। হামলার শিকারের পূর্বে জাহাজটি থেকে সর্বশেষ সৌদি আরবকে ফোন করা হয়েছিল ও সেটি ভারতের দিকে যাচ্ছিল।

এই হামলায় এটি স্পষ্ট যে, গেল ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের মাটিতে হামাসের হামলার জের ধরে জাহাজের লেনে নতুন ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। সেই সাথে আঞ্চলিক উত্তেজনা আরো বেড়েছে। হামাসের ওই হামলার জের ধরে ফিলিস্তিনের গাজায় এখনো ইসরায়েলের বাহিনীর হামলা চলছে। এরমধ্যে গাজায় প্রাণহানি ২০ হাজার ছাড়িয়েছে। আহত হয়েছে প্রায় ৫৩ হাজার। গাজায় ইসরায়েলের নির্বিচার হামলায় বাস্তুচ্যুত হয়েছে লাখ লাখ ফিলিস্তিনি।

ইসরায়েলের সামরিক অভিযানের কড়া সমালোচনা করে আসছে ইরান সরকার। সেই সাথে ইয়েমেনে অবস্থানরত ইরান সমর্থিত হুতি বিদ্রোহীরাও এই অভিযানের নিন্দায় সরব।

ভারত মহাসাগরে ট্যাংকারে হামলার প্রসঙ্গে জাতিসংঘে ইরানি প্রতিনিধি দলের এক মুখপাত্রের কাছে জানতে চাওয়া হলে তাৎক্ষণিকভাবে কোন উত্তর পাওয়া যায়নি।