মুম্বাই, ভারত: ভারতীয় শিল্পপতি গৌতম আদানি প্রথম এশীয় হিসেবে শীর্ষ তিনে উঠে আসার কয়েক সপ্তাহ পর শুক্রবার (১৬ সেপ্টেম্বর) ফোর্বসের রিয়েল-টাইম বিলিয়নেয়ার ট্র্যাকারে পৃথিবীর দ্বিতীয় ধনী হিসেবে উঠে এসেছেন। ফোর্বসের মতে, মোট সম্পদ রাতারাতি চার বিলিয়ন ডলার থেকে বেড়ে ১৫৪ বিলিয়ন হওয়ায় তিনি এলভিএমএইচের বার্নার্ড আর্নল্ট ও অ্যামাজনের জেফ বেজোর্সকে পেছনে ফেলে তালিকায় দ্বিতীয় স্থান দখল করে নেন।
টেসলার প্রতিষ্ঠাতা ইলন মাস্ক ২৭০ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি সম্পদ নিয়ে যথারীতি শীর্ষে রয়েছেন।
আর্নাল্ট ২০২১ সালের মে মাসে কয়েক বার শীর্ষস্থান দখল করেন। কোম্পানির শেয়ারের দাম ওঠানামা করায় আদানি ও আর্নাল্ট পরস্পর দুই নম্বর অবস্থান বিনিময় করেন।
ভারতের দ্বিতীয় বৃহত্তম কোম্পানির মালিক ৬০ বছর বয়সী আদানি বন্দর ও পণ্য ব্যবসায়ের মাধ্যমে তার ভাগ্য গড়েছেন। তার ব্যবসায় কয়লা খনি, ভোজ্য তেল থেকে শুরু করে বিমানবন্দর ও সংবাদ মাধ্যমে বিস্তৃত।
আদানি ট্রান্সমিশন, আদানি পাওয়ার, আদানি পোর্টস ও আদানি গ্রিন এনার্জিসহ অন্যান্য কোম্পানির শেয়ারের দাম বাড়ায় এ বছর আদানি অপর ভারতীয় ধনকুবের মুকেশ আম্বানিকে পেছনে ফেলতে সক্ষম হন।
বিশ্লেষক অনুমান নির্দেশ করে যে, আদানির সাতটি তালিকাভুক্ত কোম্পানির বাজার মূলধনও শুক্রবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সকালে টাটা গ্রুপের কোম্পানিগুলোকে মোটামুটিভাবে ছাড়িয়ে যায়। এতে করে আদানি গ্র্রুপ ভারতের বৃহত্তম গ্রুপে পরিণত হয়।
আদানি গুজরাটের পশ্চিম রাজ্যের আহমেদাবাদ শহরে একটি মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্ম নেন। ১৯৮৮ সালে রপ্তানি ব্যবসায় শুরু করার আগে তিনি কলেজ ছেড়ে হীরা শিল্পের কাজে যোগ দেন। ১৯৯৫ সালে তিনি গুজরাটের মুন্দ্রায় একটি বাণিজ্যিক শিপিং বন্দর নির্মাণ ও পরিচালনার কাজ পান নন। বন্দরটি অচিরেই ভারতের বৃহত্তম বন্দরে পরিণত হয়। একই সময়ে আদানি গ্রুপ ভারত ও বিদেশে তাপবিদ্যুৎ উৎপাদন ও কয়লা খনির ক্ষেত্র প্রসারিত করে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে গ্রুপটি একটি নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবসায় প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি উচ্চাকাক্ষী লক্ষ্য নিয়ে পেট্রোকেমিক্যাল, সিমেন্ট, ডেটা সেন্টার ও তামা পরিশোধন ব্যবসায়ে প্রবেশ করেছে।