বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪

শিরোনাম

প্রচণ্ড গরমে শরীর ঠান্ডা রাখতে পান্তা ভাত

শুক্রবার, এপ্রিল ১৪, ২০২৩

প্রিন্ট করুন

লাইফস্টাইল প্রতিবেদক: প্রচণ্ড গরমে শরীর ঠান্ডা রাখতে কাজ করে কোন খাবার, তা জানেন কি? এ তালিকার শুরুতে আছে পান্তা ভাত। এ ভাত খেলে শরীরে শক্তি বাড়ে। একই সাথে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়ে। এ ছাড়া, পান্তা ভাত তৈরির জন্য আলাদা কোন কষ্ট করতে হয় না। কেবল ভাতে পানি দিয়ে রেখে পর দিন খেয়ে নিলেই হল। এতেই মিলবে অভাবনীয় উপকারিতা।

পান্তা ভাতের উপকারিতার কথা জানান চিকিৎসকরাও। গবেষণা বলছে, ‘পান্তা ভাত খেলে তা রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়াতে দারুণভাবে কাজ করে। পান্তা ভাতের সাথে মাছ ভাজা, ভর্তা, কাঁচা পেঁয়াজ, লবণ এমনকি আর কিছু না থাকলে একটি শুকনো মরিচ ভাজা ডলে নিয়েও ভাত খাওয়া যায়। প্রচণ্ড গরমে শরীর ঠান্ডা রাখতে পান্তা ভাতের বিকল্প নেই।

​পান্তা ভাতের পুষ্টিগুণ: পান্তা ভাতের পুষ্টিগুণ নিয়ে গবেষণা শুরু হয়েছে ২০১৯ সাল থেকে। বিভিন্ন গবেষণায় উঠে এসেছে, পানিতে ভেজা পান্তা ভাতের শর্ট-চেইন ফ্যাটি অ্যাসিড রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে কাজ করে। এ ভাতে থাকে প্রচুর কার্বোহাইড্রেট। ফ্যাটি অ্যাসিড ও কার্বোহাইড্রেটের অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটারি বৈশিষ্ট্য আমাদের শরীরে শক্তি বৃদ্ধি করে। সারা রাত ফার্মেন্টেশনের কারণে ভিটামিন বি টুয়েলভের মাত্রা বেড়ে যায় এ ভাতে। যে কারণে দূর হয় ক্লান্তি ও অনিদ্রা।

রক্তচাপ ও কোষ্ঠকাঠিন্য নিয়ন্ত্রণ করে: পান্তা ভাত ন্যাচারাল ল্যাক্সেটিভ হিসেবে কাজ করে। ফলে এ ভাত খেলে কমে কোষ্ঠকাঠিন্য। উচ্চ রক্তচাপ থাকলে পান্তা ভাত খেতে পারেন। এ সমস্যায় পান্তা ভাত বেশ কার্যকরী। এ ভাতে সাধারণ ভাতের তুলনায় সোডিয়াম কম থাকে। অপর দিকে, পটাশিয়ামের পরিমাণ বেশি থাকে।

​ওজন কমায়: পান্তা ভাতে ফারমেন্টেশনের কারণে কার্বোহাইড্রেট ও ফ্যাট কমে যায় অনেকটাই। তাই, পান্তা ভাত খেয়ে ওজন কমানো সম্ভব। তবে, সে ক্ষেত্রে খেতে হবে সীমিত। পান্তা ভাতকে বিউটি সিক্রেট অফ এশিয়াও বলা হয়। কারণ, আমাদের ত্বকে কোলাজেন তৈরি করতে কাজ করে পান্তা ভাত। ত্বকের ইলাস্টিসিটি বৃদ্ধিতে কাজ করে এ ভাত। যে কারণে ত্বক উজ্জ্বল, মসৃণ ও টানটান থাকে।

শরীরে আর্দ্রতা ধরে রাখে: শরীর রিহাইড্রেটিং ফুড বলা হয় পান্তা ভাতকে। প্রচণ্ড গরমে পান্তা ভাত তাই খুবই উপকারী একটি খাবার। বিশেষজ্ঞরা বলেন, ‘পান্তা ভাতে আছে ইক্রোনিউট্রিয়েন্ট যা শরীরের জন্য বিভিন্ন প্রয়োজনীয় উপাদানের ঘাটতি মেটায়।’ ১০০ গ্রাম সাধারণ ভাতে তিন দশমিক চার মিলিগ্রাম আয়রন থাকে। অপর দিকে, পান্তা ভাতে আয়রন থাকে প্রায় ২১ গুণ বেশি।