সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪

শিরোনাম

প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটিতে শেষ হল মুক্তিযুদ্ধভিক্তিক পাঁচ দিনের চলচ্চিত্র প্রদর্শনী

বুধবার, ডিসেম্বর ২১, ২০২২

প্রিন্ট করুন

চট্টগ্রাম: প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির উদ্যোগে বিজয় দিবস উপলক্ষে পাঁচ দিনের ‘বিজয় উৎসব’ শীর্ষক বিজয় কনসার্ট ও মুক্তিযুদ্ধের চলচ্চিত্র প্রদর্শনীর শেষ হয়েছে হয়েছে। বুধবার (২১ ডিসেম্বর) বিকাল তিনটায় প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির দামপাড়াস্থ কেন্দ্রীয় অডিটোরিয়ামে এ উপলক্ষে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ইউনিভার্সিটির উপাচার্য প্রফেসর অনুপম সেন। অতিথি ছিলেন নাট্যব্যক্তিত্বনাসির উদ্দীন ইউসুফ। উপস্থিত ছিলেন প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির উপ-উপাচার্য প্রফেসর কাজী শামীম সুলতানা, ট্রেজারার প্রফেসর একেএম তফজল হক, রেজিস্ট্রার জনাব খুরশিদুর রহমান, ‘বিউটি সার্কাস’ চলচ্চিত্রের পরিচালক মাহমুদ দিদার, কলা ও সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর মোহীত উল আলম, ব্যবসায়-শিক্ষা অনুষদের সহকারী ডিন প্রফেসর এম মঈনুল হক।

অনুষ্ঠানে অনুপম সেন বলেন, ‘আমরা চাই, বাংলাদেশ একটি সংস্কৃতিঋদ্ধ দেশ হোক। একটি দেশের পরিচয় তার লেখাপড়ার মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকে না। একটি দেশের পরিচয় তার নাটক, তার সাহিত্য, তার সংগীত ও তার বিজ্ঞান- এসব মিলিয়েই। ব্রিটিশের বিরুদ্ধে আমাদের অনেক ক্ষোভ রয়েছে। আমরা তাদের উপনিবেশ ছিলাম ১৯০ বছর। আমাদের বিপুল সম্পদ তারা লুণ্ঠন করেছে। কিন্তু তাদের জ্ঞানের, তাদের সংস্কৃতির যে-ঐশ্বর্য, তা আমরা অস্বীকার করতে পারি না। জার্মানী দুইটা মহাযুদ্ধ ঘটিয়েছে; হিটলারের মত অমানবিক ও নির্দয় মানুষের জন্ম দিয়েছে। তারপরও আমরা অস্বীকার করতে পারি না যে, জার্মানী অসাধারণ সব লেখক, নাট্যকার, কবি ও সুরকারের স্রষ্টা; তার রয়েছে বিশাল সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য। বস্তুত কোন দেশের সংস্কৃতিকে অস্বীকার ও অবজ্ঞা করা যায় না। একটা দেশকে এগিয়ে নিতে হলে তাকে সংস্কৃতিঋদ্ধ করেই এগিয়ে নিতে হয়। বাংলাদেশকেও সংস্কৃতিঋদ্ধ করেই এগিয়ে নিতে হবে।’

তিনি আরো বলেন, ‘প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির মুখ্য কাজ জ্ঞান বিতরণ ও জ্ঞান সৃষ্টি করা হলেও আমরা চাই, শিক্ষার পাশাপাশি এ ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীরা বাংলাদেশের সংস্কৃতি সম্পর্কে জানুক, এ সংস্কৃতিকে ধারণ করুক। কারণ, শিক্ষা ও সংস্কৃতি অচ্ছেদ্য। এ কারণেই প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটি বিভিন্ন সাংস্কৃতিক উৎসবের আয়োজন করে থাকে। পাঁচ দিনের ‘বিজয় উৎসব’ শীর্ষক বিজয় কনসার্ট ও মুক্তিযুদ্ধের চলচ্চিত্র প্রদর্শনী তারই উদাহরণ।’

নাসির উদ্দীন ইউসুফ বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের সময় সাত কোটি মানুষের মধ্যে ছয কোটি মানুষ মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে ছিলেন। প্রত্যেকের মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কিত গভীর বেদনাদায়ক ঘটনা রয়েছে, স্মৃতি রয়েছে। এসব ঘটনা ও স্মৃতি চলচ্চিত্র নির্মাণের উপযোগী। ইতিমধ্যে কোন কোন ঘটনা নিয়ে চলচ্চিত্র নির্মিত হয়েছে। এসব চলচ্চিত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের দেখানো দরকার, শিক্ষার পাশাপাশি যেন তারা বাংলাদেশের ইতিহাস, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস অবগত হতে পারে।’

তিনি ‘বিউটি সার্কাস’ চলচ্চিত্র সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়ে বলেন, ‘এ চলচ্চিত্রে মুক্তিযুদ্ধের গল্প বলার চেষ্টা করা হয়েছে।’

মাহমুদ দিদার ‘বিউটি সার্কাস’ চলচ্চিত্রের নির্মাণের ইতিহাস বর্ণনা করেন।