সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪

শিরোনাম

ফোনকলে ইউক্রেন ইস্যুতে রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রে প্রতিরক্ষামন্ত্রীর আলোচনা

বুধবার, জুন ২৬, ২০২৪

প্রিন্ট করুন

মস্কো, রাশিয়া: রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রী আন্দ্রেই বেলোসভ ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন মঙ্গলবার (২৫ জুন) ইউক্রেনের সংঘাত নিয়ে ফোনে আলোচনা করেছেন। রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনের অন্যতম কট্টর সামরিক সমর্থক, বিলিয়ন ডলার দামের সহায়তা করেছে এবং রাশিয়ার এর নিন্দা জানিয়ে আসছে এবং যুক্তরাষ্ট্রকে ‘সরাসরি শত্রুতায় জড়িত’ বলে অভিযুক্ত করেছে।

রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রনালয় বিবৃতিতে বলেছে, ‘বেলোসভ ও অস্টিন ‘ইউক্রেনের ঘিরে সার্বিক পরিস্থিতি সম্পর্কে মত বিনিময় করেছেন’। কথোপকথনটি ‘মার্কিন পক্ষের উদ্যোগে’ হয়েছিল বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করেছে।

‘আন্দ্রেই বেলোসভ ইউক্রেনের সশস্ত্র বাহিনীতে যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্রের চলমান সরবরাহের সঙ্গে পরিস্থিতির আরো অবনতির বিপদের দিকে ইঙ্গিত করে বলেছেন, ‘এ পরিস্থিতি অব্যাহত রয়েছে। ‘অন্যান্য ব্যাপার নিয়েও আলোচনা হয়েছে।’

যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় পেন্টাগনের মুখপাত্র মেজর জেনারেল প্যাট রাইডারও বিবৃতিতে বলেছেন, ‘অস্টিন ‘ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রাশিয়ার চলমান যুদ্ধের মধ্যে যোগাযোগের লাইন বজায় রাখার গুরুত্বের উপর জোর দিয়েছেন।’

তিনি আরো বলেন, ‘এটি মে মাসে রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ হওয়া বেলোসভের সঙ্গে অস্টিনের প্রথম কল ছিল।’

ইউক্রেনের জন্য চলমান সামরিক সহায়তার জন্য রাশিয়া যুক্তরাষ্ট্রের নিন্দা করেছে এবং ওয়াশিংটন সম্প্রতি কিয়েভকে খরকিভ শহরের কাছে রাশিয়ার কিছু অংশে দূরপাল্লার যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্র ব্যবহার করার অনুমতি দিয়েছে।

সোমবার, ক্রেমলিন যুক্তরাষ্ট্রকে ‘পরিণাম’ সম্পর্কে সতর্ক করেছিল এবং রাশিয়া বলেছিল যে, ক্রিমিয়াতে যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে ইউক্রেনের হামলায় চারজন নিহত হওয়ার পরে তার রাষ্ট্রদূতকে তলব করেছে।

প্যাট রাইডার সেই সময় বলেছিলেন, ‘ইউক্রেনীয়রা ‘তাদের নিজস্ব সিদ্ধান্ত নেয়’।’

এ দিকে, যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র ম্যাথু মিলার এ যুদ্ধের জন্য রাশিয়াকে দায়ী করেছেন এবং এ ব্যাপারে পৃথিবীর বেশিরভাগ দেশের অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করে বলেছেন, ‘২০১৪ সালে রাশিয়া একতরফাভাবে ক্রিমিয়াকে সংযুক্ত করেছে, যা ইউক্রেনের অংশ।’

ইউক্রেনে পশ্চিমা অস্ত্রের চালান রাশিয়ার জন্য ক্রমবর্ধমান ক্ষোভের ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে।