চট্টগ্রাম: দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত সুস্পষ্ট লঘুচাপটি পশ্চিম-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হয়ে নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে।
এটি শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) সকাল ছয়টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে এক হাজার ৬৬০ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে এক হাজার ৫৮৫ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে এক হাজার ৬৩০ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে এক হাজার ৫৯৫ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছিল। এটি আরো পশ্চিম-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হতে পারে।
শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) আবহাওয়ার বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, ‘নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৪৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৪০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। নিম্নচাপ কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর উত্তাল রয়েছে।’
চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে এক নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার সব নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি এসে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়, ‘শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) সকাল নয়টা থেকে অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ গোটা দেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। দেশের উত্তরাঞ্চল ও নদী-অববাহিকার কোথাও কোথাও শেষ রাত থেকে সকাল পর্যন্ত হালকা কুয়াশা পড়তে পারে।’
পুরো দেশে রাত ও দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। ঢাকায় শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) বাতাসের গতিবেগ উত্তর/উত্তর-পূর্বদিক থেকে ঘন্টায় (৮-১২) কিলোমিটার। শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) সকাল ছয়টায় ঢাকায় বাতাসের আপেক্ষিক আর্দ্রতা ছিল ৯২ শতাংশ। ঢাকায় শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) সূর্যাস্ত সন্ধ্যা পাঁচটা দশ মিনিটে ও শনিবার (২ ডিসেম্বর) ঢাকায় সূর্যোদয় ভোর ছয়টা ২৫ মিনিটে।
আগামী ৫ দিনের আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ‘এই সময়ের শেষের দিকে গোটা দেশে বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।’