ঢাকা দক্ষিণ: ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি মাওলানা মুহাম্মদ ইমতিয়াজ আলম বলেছেন, ‘সরকার গণবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। খোদ আওয়ামী লীগের লোকজনই এখন আওয়ামী ফ্যাসিবাদ থেকে মুক্তি চায়। সীমাহীন দুর্নীতি, লুটপাট, নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের আকাশচুম্বি মূল্য তার ওপর কোটা সংস্কার আন্দোলনে পাখির মত গুলি করে মানুষ হত্যা দেশের আপামর জনতাকে ভাবিয়ে তুলছে। একটি আন্দোলন দমাতে সরকারের লাশের স্তুপ সর্ব শ্রেণি-পেশার মানুষের বিবেক নাড়া দিয়েছে।’
শুক্রবার (২৬ জুলাই) ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের নিয়মিত মাসিক সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। নগর সেক্রেটারি শহীদুল ইসলামের পরিচালনায় এতে বক্তব্য দেন আনোয়ার হোসাইন, আবদুল আউয়াল, নুরুজ্জামান সরকার, কেএম শরীয়াতুল্লাহ, মাওলানা মুহাম্মদ মাকসুদুর রহমান, মাওলানা নজরুল ইসলাম, এইচএম রফিকুল ইসলাম, মাওলানা কামাল হোসাইন, এসকে আবু তাহের, মাওলানা জিয়াউল আশরাফ, এমএম শোয়াইব, মাওলানা নাজিমুদ্দিন, মুফতি আখতারুজ্জামান।
সভায় ইমতিয়াজ আলম আরো বলেন, ‘বর্তমান সংকটের জন্য খোদ প্রধানমন্ত্রী দায়ী। সেই সাথে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকও। এ দুইজনের ঈঙ্গিতপূর্ণ ও উস্কানিমূলক বক্তব্যেই রাজপথ উত্তপ্ত হয়েছে। শত শত মানুষ লাশ হয়েছে। হাজার হাজার মানুষ পঙ্গুত্ববরণ করেছে। হাসপাতালের বেডে আহত রোগীরা কাতরাচ্ছে। হাজার হাজার মানুষকে জেলে বন্দী করা হয়েছে। মানুষ আজ আতঙ্কে জীবনযাপন করছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অপতৎপরতার কারণে মানুষ ঘরে ঘুমোতে পারছে না।’
‘কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সরকার ধ্বংসযজ্ঞগুলো প্রচার করছে। কিন্তু, শত শত মানুষ যে লাশ হয়েছে, সেগুলো নিয়ে সরকারের কোনই প্রচারণা নেই। ধ্বংসাত্মক কার্যক্রম যেমন নিন্দনীয় তারচে ভয়াবহ নিন্দনীয় হল মানুষ খুন করা। যত উন্নয়ন এটা সেটা সব হল মানুষের উপকারের জন্য, সেখানে মানুষই যদি না থাকে, এসব উন্নয়ন কেউ চিবিয়ে খাবে না।’
ইমতিয়াজ আলম সরকারকে কড়া বার্তা দিয়ে বলেন, ‘দ্রুত এর রাজনৈতিক সমাধান না হলে দেশের পরিস্থিতি আরো উত্তপ্ত হতে পারে। এ জন্য সরকারকেই রাজনৈতিক সংকট উত্তরণের উদ্যোগ নিতে হবে।’
এ সংকট উত্তরণে রাজনৈতিক সমঝোতার বিকল্প নেই বলেও তিনি উল্লেখ করেন।