রবিবার, ১৩ এপ্রিল ২০২৫

শিরোনাম

বাংলাদেশ ডে প্যারেডের মীট দ্যা প্রেসে উত্তেজনা ও বাদানুবাদ

শনিবার, এপ্রিল ১২, ২০২৫

প্রিন্ট করুন

নিউইয়র্ক: মৃদু উত্তেজনা আর বাদানুবাদের মধ্যে নিউইয়র্কে আসন্ন ‘বাংলাদেশ ডে প্যারেড’ উপলক্ষে মিট দ্যা প্রেস অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (৯ এপ্রিল) সন্ধ্যায় জ্যাকসন হাইটসে নবান্ন পার্টি হলের এ সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, রোববার (১৩ এপ্রিল) দুপুরে জ্যাকসন হাইটসের ৬৯ স্ট্রিট থেকে শুরু হয়ে ৩৭ এভিনিউ ধরে প্যারেড যাবে ৮৭ স্ট্রিটে। শুরুর স্থান এবং সমাপ্তির মঞ্চে দেশ ও প্রবাসের বিশিষ্টজনেরা শুভেচ্ছা বক্তব্যের পাশাপাশি শিল্পীরা গান করবেন।

‘হিউম্যানিটি অ্যাম্পাওয়ারমেন্ট রাইটস ফাউন্ডেশন’র সহায়তায় প্যারেডের সামগ্রিক ব্যবস্থাপনায় রয়েছে বাংলাদেশ সোসাইটি। সংবাদ সম্মেলনের সঞ্চালনা করেন প্যারেডের জন্যে গঠিত কমিটির সদস্য সচিব ফাহাদ সোলায়মান। তিনি প্যারেড কমিটির শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তা এবং গ্র্যান্ড মার্শাল ও প্রধান উপদেষ্টাকে মঞ্চে আহবান করেন।

এরপর বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধিত্বকারিকে মঞ্চে আহ্বানের সময় কমিউনিটি লিডার সরোয়ার খান বাবু এবং রফিকুল ইসলাম ডালিম দর্শক সারি থেকে প্রতিবাদ করতে থাকেন। বাংলাদেশ সোসাইটি যদি হোস্ট হয়ে থাকে তাহলে অনেক সংগঠনই তো আমন্ত্রণ পায়নি এ প্যারেডে সম্পৃক্ত হবার। এ নিয়ে উত্তেজনা ও বাদানুবাদের এক পর্যায়ে মাইক নিয়ে বাংলাদেশ সোসাইটির প্রেসিডেন্ট তথা এই প্যারেড কমিটির চেয়ারপার্সন আতাউর রহমান সেলিম সকলকে শান্ত হওয়ার আহ্বান জানান।

বাংলাদেশ সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলীও মাইক নিয়ে সকলকে নিশ্চিত করেন যে, প্যারেড করা হচ্ছে সকলের অংশগ্রহণে এবং সে তাগিদেই আজ আমরা এখানে সমবেত হয়েছি।

এক পর্যায়ে সকলে শান্ত হোন এবং আবারো আতাউর রহমান সেলিম সামগ্রিক প্রস্তুতি এবং বিপুল উপস্থিতি দিয়ে বাংলাদেশ ডে প্যারেডকে সাফল্যমন্ডিত করার জন্যে সকলের প্রতি আহ্বান জানান। সেলিম উল্লেখ করেন, এ আয়োজনটি আমাদের জন্যে প্রথম, তাই ভুল-ত্রুটি হতেই পারে। তা সংশোধনের দায়িত্ব আপনাদের সকলের। সব সময় আমরা সহায়তা চাইছি সুন্দর একটি প্যারেড আয়োজনের জন্যে।

টানটান উত্তেজনার মধ্যেই প্যারেডের প্রধান উপদেষ্টা এবং বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির অন্যতম সদস্য গিয়াস আহমেদ বলেন, ‘বহুজাতিক এ সমাজে নিজেদের দৃঢ় অবস্থানের জানান দিয়ে মূলধারা থেকে অধিকার ও মর্যাদা আদায়ের পথ সুগম করার ক্ষেত্রে বিপুল অংশগ্রহণে একটি প্যারেডের গুরুত্ব অপরিসীম।’

এ সময় প্যারেডের প্রস্তুতি আলোকে সর্বস্তরের প্রবাসীর সাপোর্ট কামনা করে বক্তব্য দিয়েছেন গ্র্যান্ড মার্শাল শাহনেওয়াজ, সাংগঠনিক সম্পাদক ফেমড রকি, কো-চেয়ারম্যান নুরুল আজিম, কাজী আজম, আহসান হাবিব, মোহাম্মদ কামরুজ্জামান কামরুল, জাহাঙ্গির সোহরাওয়ার্দি, চীফ ম্যানেজমেন্ট ডাইরেক্টর জে মোল্লাহ সানী, ফখরুল ইসলাম দেলোয়ার, মাজেদা এ উদ্দিন প্রমুখ।

এ সময় জানানো হয় যে, নিউইয়র্ক সিটির মেয়রসহ নির্বাচিত গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তারা আসবেন অতিথি হিসেবে। প্যারেড আয়োজনে কমপক্ষে ৬৫ হাজার ডলার ব্যয় হচ্ছে এবং এ অর্থ সংগ্রহ করা হচ্ছে স্পন্সরগণের কাছ থেকে। ইতিমধ্যেই ৩০টির অধিক সংগঠন তালিকাভুক্ত হয়েছে প্যারেডে অংশগ্রহণের জন্যে।

সংবাদ সম্মেলনে আরো জানানো হয়, কমিউনিটি হিসেবে নতুন এবং খুবই ছোট হলেও নেপালিরা ম্যানহাটানে প্যারেডের অনুমতি পাচ্ছে। অপরদিকে, এই সিটিতে দুই লাখের বেশী বাংলাদেশীর বাস হলেও ম্যানহাটানে ‘বাংলাদেশ ডে প্যারেড’ আয়োজনের অনুমতি সংগ্রহ করতে সক্ষম হচ্ছে না বাংলাদেশ সোসাইটি। এই সংকট কাটিয়ে উঠতে দরকার যোগ্যতাসম্পন্ন ব্যক্তিবর্গকে নেতৃত্বে অধিষ্ঠিত করা- এমন মন্তব্য অনেকের।