টেকনাফ, কক্সবাজার: মিয়ানমার থেকে ব্যাপক গোলাগুলির শব্দ পাওয়ার কথা জানিয়েছেন কক্সবাজার টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং ইউনিয়নের বাসিন্দারা।
স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) রাতে ও শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সকালে মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনী ও আরাকান আর্মির মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলির শব্দ পাওয়া গেছে।
হোয়াইক্যং ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান নুর আহমদ আনোয়ারী বলেন, ‘শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) রাতে সীমান্তের ওপারে প্রচণ্ড গোলাগুলির শব্দ শোনা গেছে। শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকেই গুলির মাত্রা বাড়তে থাকে।’
তিনি আরো বলেন, ‘স্থানীয়রা নিরাপদ আশ্রয়ে ছুটে যাচ্ছেন ও মাছ চাষিরা ঘেরে যেতে পারছেন না।’
ঘুমধুম ইউপির চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আজিজ জানান, শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টার দিকে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার তুমব্রু সীমান্তের বাংলাদেশ অংশে একটি মর্টার শেল এসে পড়ে।
তিনি বলেন, ‘গেল দুই দিন ধরে সীমান্ত শান্ত থাকলেও শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) থেকে ফের সংঘর্ষ শুরু হয়েছে।’
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম ও তুমব্রু সীমান্তে দুই সপ্তাহ ধরে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে সামরিক জান্তার সশস্ত্র বাহিনী ও বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে তুমুল যুদ্ধ, সংঘর্ষ ও গোলাগুলির মধ্যে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
সীমান্তে সংঘাতের আশঙ্কায় বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুর পর্যন্ত মিয়ানমারের তিন শতাধিক সেনা ও সীমান্তরক্ষী বাহিনী বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে।
এ দিকে, সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের জলপায়তলী গ্রামের আকেটি বাড়ির রান্নাঘরে মিয়ানমারের দিক থেকে আসা মর্টার শেল আঘাত করে। এতে এক বাংলাদেশি নারী ও এক রোহিঙ্গা পুরুষ নিহত হয়েছেন।