শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪

শিরোনাম

বাংলাদেশ সোসাইটির সেলিম-আলী পরিষদের বিজয় উৎসবে সামগ্রিক কল্যাণে ঐক্যবদ্ধ থাকার সংকল্প

বুধবার, নভেম্বর ১৩, ২০২৪

প্রিন্ট করুন

নিউইয়র্ক সিটি, যুক্তরাষ্ট্র: কমিউনিটির সামগ্রিক কল্যাণে দলমতের ঊর্ধ্বে থেকে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজের সংকল্প ব্যক্ত করেছে উত্তর আমেরিকায় প্রবাসীদের সর্ববৃহৎ সংগঠন ‘বাংলাদেশ সোসাইটি’র নির্বাচনে জয়ী কর্মকর্তারা।

সোমবার (১১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় নিউইয়র্ক সিটির উডসাইডে তিব্বত কমিউনিটি সেন্টারে হাজারো প্রবাসীর উপস্থিতিতে এ বিজয়-উৎসবে অঙ্গীকার করা হয় প্রিয় মাতৃভূমির কল্যাণেও সবাই ঐক্যবদ্ধ থাকার।

গেল ২৭ অক্টোবর ১৮ হাজার ভোটারের এ নির্বাচনে পূর্ণ প্যানেলে জয়ী হয়েছেন সেলিম-আলী প্যানেলের প্রার্থীরা। সভাপতি হয়েছেন আতাউর রহমান সেলিম ও সেক্রেটারি মোহাম্মদ আলী। দুই বছর মেয়াদী কার্যকরী কমিটির ১৯ সদস্যের এ নির্বাচনে সর্বাধিক ভোটে সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে পুনর্নির্বাচিত হয়েছেন মহিউদ্দিন দেওয়ান। আর বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় প্রচার ও জনসংযোগ সম্পাদক হিসেবে ফের নির্বাচিত হন রিজু মোহাম্মদ।

বিজয়ী অপর প্রার্থীরা হলেন ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ কামরুজ্জামান, সহকারী সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম ভূইয়া, কোষাধ্যক্ষ মফিজুল ইসলাম ভূইয়া রুমি, সাংগঠনিক সম্পাদক ডিউক খান, সাংস্কৃতিক সম্পাদক অনিক রাজ, সমাজকল্যাণ সম্পাদক জামিল আনসারী, সাহিত্য সম্পাদক আকতার বাবুল, ক্রীড়া সম্পাদক আশরাফ খান লিটন এবং স্কুল ও শিক্ষা সম্পাদক হাসান জিলানী।

নির্বাহী সদস্যরা হলেন মো. সিদ্দিক পাটোয়ারি, হারুন, আবুল কাশেম চৌধুরী, জাহাঙ্গীর সোহরাওয়ার্দী, মনসুর আহমেদ ও হাসান খান।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ‘সেলিম-আলী প্যানেল’র নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সভাপতি শাহনেওয়াজ। পরিচালনা করেন তোফায়েল আহমেদ। পবিত্র ধর্মগ্রন্থ কোরআন, গীতা ও বাইবেল থেকে পাঠের পর সবার সুস্বাস্থ্য এবং সমৃদ্ধি কামনায় বিশেষ মোনাজাতে নেতৃত্ব দেন জামিল আনসারী।

এরপর শুরু হয় নির্বাচিতদের লাল গোলাপ শুভেচ্ছার পালা। এক পর্যায়ে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার প্রতিনিধিত্বকারীরা মঞ্চে উঠে বিজয়ীদের সঙ্গে হাত উঁচুতে ধরে সংকল্প ব্যক্ত করেন বাংলাদেশিদের এগিয়ে নিতে সব স্বার্থ-চিন্তা দূরে রেখে একযোগে কাজ করার।

নিউইয়র্ক সিটিতে একটি কমিউনিটি সেন্টার নির্মাণ, বাংলাদেশ ডে প্যারেড অনুষ্ঠান এবং যে কোন নির্বাচনে ঐক্যবদ্ধ থাকার কথাও উচ্চারিত হয় এ সময়। প্রবাসের জনপ্রিয় শিল্পীদের পরিবেশনার ফাঁকে ধ্বনিত হয় প্রবাস প্রজন্মকে বাঙালি সংস্কৃতির আবহে জড়িয়ে রাখার প্রত্যয়।