লস অ্যাঞ্জেলেসে, ক্যালিফোর্নিয়া: পূর্বের যে কোন সময়ের চেয়ে উচ্চ শিক্ষার জন্য অনেক বেশি বাংলাদেশি শিক্ষার্থী পাড়ি দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রে। গবেষণায় জানা গেছে, গত দশ বছরে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেড়েছে প্রায় তিন গুণ। চলতি বছর এ সংখ্যা আরো বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সম্প্রতি লস অ্যাঞ্জেলেসে এক সেমিনারে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের সুযোগ ও সম্ভাবনা নিয়ে নানা তথ্য তুলে ধরেন শিক্ষাবিদরা।
প্রায় প্রতিদিনই কোন না কোন বাংলাদেশি শিক্ষার্থীর পদচারনায় মুখর হয়ে উঠছে স্বপ্নের দেশ যুক্তরাষ্ট্রের বিদ্যাপীঠগুলোর ক্যাম্পাস। হাজারো সম্ভাবনার এ দেশে পা রেখেই নতুন এ শিক্ষার্থীরা জানতে চান, শিক্ষা ও গবেষণা বিষয়ক নানা তথ্য। তাদের এসব প্রশ্নের উত্তর দিতেই এক দল প্রতিথযশা শিক্ষাবিদ আর শিক্ষার্থীদের নিয়ে লস অ্যাঞ্জেলেসে ব্যাতিক্রমী এক সেমিনারের আয়োজন করে ‘বাংলাদেশি আমেরিকান সোসাইটি (বিএএস)।’
‘আজকের ছাত্র আগামীর নেতা’ শীর্ষক এ সেমিনারে বক্তব্য দেন যুক্তরাষ্ট্রের নামকরা কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ডীন, অধ্যাপক, প্রভাষকসহ স্বাস্থ্য ও তথ্য-প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা। এ সময় যুক্তরাষ্ট্রে নিজেদের ছাত্রজীবনের বিচিত্র অভিজ্ঞতা বর্ণনা করে, শিক্ষার্থীদের সময় ও সুযোগের সদ্ব্যবহারের মাধ্যমে জীবন গড়ার দিক নির্দেশনা দেন তারা।
লস অ্যান্জেলেসে অবস্থিত লয়োলা ম্যারিমাউন্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের ডীন নাজমুল উলা বলেন, ‘এ দেশটি অভিবাসীদের জন্য। এখানে স্বাধীনতা আছে। আমাদের এ দেশটিকে ছোট করে দেখার সুযোগ নেই। এটা একটা সেরা দেশ। সবার চেয়ে উন্মুক্ত দেশ এটি।’
ক্যালিফোর্নিয়া স্টেট ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক আবু নাসের রাজীব বলেন, ‘মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়। আজকে যদি আমরা আকাশ ছোঁয়ার স্বপ্ন দেখি, তবে আকাশ ছুঁতে না পারলেও অনেক বড় কিছু অর্জন করা সম্ভব।’
ক্যালিফোর্নিয়া স্টেট ইউনিভার্সিটির প্রভাষক শাকিলা রহমান বলেন, ‘আমি নিজেও এখানে স্টুডেন্ট ভিসায় এসেছিলাম। তখন আসলে এমন সুযোগ সুবিধা ছিল না। এ ধরনের কার্যক্রম আমাদের অনেক উপকার করবে।’
সেমিনারে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের শিক্ষা পরিকল্পনা, বাসস্থান, স্থায়ীভাবে বসবাস ও কর্মসংস্থানের নানা দিক নিয়ে আলোচনা করা হয়। উঠে আসে তথ্য ও প্রযুক্তির বিষয়টিও। যুক্তরাষ্ট্রে এ খাতে ক্যারিয়ার গড়া ও বিপুল কর্মসংস্থানের তথ্য তুলে ধরেন আইসিটি বিশেষজ্ঞরা।
তথ্য ও প্রযুক্তিবিদ শেখ গালিব রহমান বলেন, ‘আপনারা যদি আজকে লেখাপড়ার পাশাপাশি বিভিন্ন প্রযুক্তি বিষয়ে নিজেদের দক্ষতা বৃদ্ধি করেন, তাহলে আপনাদের চাকরি পেতে অনেক সুবিধা হবে।’
এ ছাড়া শিক্ষার্থীদের পড়াশুনার মানোন্নয়ন ও বিদেশে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি বাড়াতে এ ধরনের আয়োজন আরো বেশি করে প্রয়োজন বলে মনে করছেন বিশেজ্ঞরা।