ওয়াশিংটন, যুক্তরাষ্ট্র: বাংলাদেশের ওপর থাকা ভ্রমণ সতর্কতা শিথিল করেছে যুক্তরাষ্ট্র। সর্বশেষ জুলাই মাসের পরিস্থিতি বিবেচনায় রেখে বাংলাদেশের ওপর ভ্রমণ সতর্কতা দিয়েছিল দেশটি। এর পূর্বে, এ সতর্কতা লেভেল ফোরে (চতুর্থ ধাপ) ছিল, এখন তা কমিয়ে লেভেল থ্রিতে (তৃতীয় ধাপ) নামিয়ে আনা হয়েছে। অর্থাৎ, এখন বাংলাদেশে ভ্রমণ করতে চাইলে যুক্তরাষ্ট্রের যে কোন নাগরিক তা করতেই পারেন। তবে, এবার পাবর্ত্য চট্টগ্রাম এলাকায় ভ্রমণ নিয়ে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
বাংলাদেশের গোলযোগপূর্ণ পরিস্থিতি বিবেচনায় গেল ৫ আগস্ট এ ভ্রমণে নাগরিকদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ভ্রমণসংক্রান্ত এক্স অ্যাকাউন্টে প্রকাশ করা তালিকায় বাংলাদেশকে এখনো লেভেল ফোর (ভ্রমণ নিষিদ্ধ) অবস্থানে দেখা গেছে। সেটাই তুলে নেয়া হল বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর)।
যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের সাম্প্রদায়িক সহিংসতা, অপরাধ, সন্ত্রাস, অপহরণ ও অন্যান্য নিরাপত্তা ঝুঁকির কারণে খাগড়াছড়ি, রাঙামাটি ও বান্দরবান পার্বত্য অঞ্চলের জেলাগুলোতে ভ্রমণ না করতে বলা হয়েছে নির্দেশনায়। এতে আরো বলা হয়, ‘আপনি যদি এ অঞ্চলগুলোতে ভ্রমণের পরিকল্পনা করেন, তবে বাংলাদেশ সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা অফিসের পূর্বানুমতি প্রয়োজন হবে।’
এর পূর্বে, গেল ৪ সেপ্টেম্বর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে দেয়া পোস্টে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর জানায়, যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের ভ্রমণের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ এখনো ঝুঁকিপূর্ণ এবং তা এখনো লাল তালিকায় রয়েছে। এ তালিকায় বাংলাদেশ ছাড়াও রয়েছে আরো ২০টি দেশ।
ওই পোস্টে জানানো হয়, বাংলাদেশসহ মোট ২১টি দেশকে লাল তালিকাভুক্ত করে চতুর্থ ধাপের ভ্রমণ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। এটি যুক্তরাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পর্যায়ের ভ্রমণ সতর্কতা। যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত এসব দেশ ভ্রমণ না করতে পরামর্শ দেয়া হয়।
এ তালিকায় বাংলাদেশ ছাড়াও অন্য দেশগুলো হল আফগানিস্তান, বেলারুশ, বুরনিকা ফাসো, মায়ানমার, সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিক, হাইতি, ইরান, ইরাক, লেবানন, লিবিয়া, মালি, উত্তর কোরিয়া, রাশিয়া, সোমালিয়া, দক্ষিণ সুদান, সুদান, সিরিয়া, ইউক্রেন, ভেনিজুয়েলা ও ইয়েমেন।
এর পূর্বে, ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর বাংলাদেশ নিয়ে চতুর্থ ধাপের ভ্রমণ সতর্কতা জারি করার কথা জানায় যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস। সেখানে বলা হয়েছিল, বেসামরিক অস্থিরতা, অপরাধ ও সন্ত্রাসবাদের ঝুঁকির কারণে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের বাংলাদেশ ভ্রমণ করতে নিষেধ করা হয়।