সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪

শিরোনাম

বাংলাদেশের চাহিদা মত চাল ও গমসহ সাতটি পণ্য রপ্তানি করবে ভারত

মঙ্গলবার, ডিসেম্বর ২৭, ২০২২

প্রিন্ট করুন

ঢাকা: ভারত বাংলাদেশের বার্ষিক চাহিদা মোতাবেক চাল, গম, চিনি ও পেঁয়াজসহ সাতটি নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য সরবরাহে সম্মত হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। 

তিনি বলেন, ‘সম্ভাব্য খাদ্য সংকট মোকাবিলায় চাল, গম, চিনি ও পেঁয়াজসহ সাতটি নিত্যপণ্য আমদানির প্রধান সরবরাহকারি দেশ ভারতের কাছে বার্ষিক কোটা সুবিধা চাওয়া হয়েছে। আমাদের চাহিদা অনুযায়ী এ কোটা নির্ধারণে তারা সম্মত হয়েছে।’

গত ২২-২৩ ডিসেম্বর ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লীতে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ-ভারত বাণিজ্যমন্ত্রী পর্যায়ের সভায় এ সুবিধা চাওয়া হয়। সভায়টিপু মুনশি ও ভারতের বাণিজ্য মন্ত্রী পিয়ুশ গয়াল নিজ নিজ সরকারের পক্ষে নেতৃত্ব দেন।

মঙ্গলবার (২৭ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সভা কক্ষে সংবাদ সম্মেলন করে টিপু মুনশি এসব তথ্য জানান।

বাণিজ্য মন্ত্রী বলেন, ‘সাত নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্যপণ্য আমদানিতে বার্ষিক কোটা সুবিধার বিষয়ে ভারত বলেছে, যে পরিমাণ পণ্যের কথা আমরা উল্লেখ করেছি- বাংলাদেশ সেই পরিমাণ পণ্য ভারত থেকে আমদানি করে না। তাই আগামী দেড় থেকে দুই মাসের মধ্যে বাংলাদেশের প্রকৃত চাহিদা বা বার্ষিক কোটার সংখ্যা পর্যালোচনা করে চূড়ান্ত করা হবে।’
 
তিনি আরো বলেন, ‘বাংলাদেশের অন্যতম রপ্তানি পণ্য পাটজাত সামগ্রীর উপর ২০১৭ সাল হতে আরোপিত অ্যান্টি-ডাম্পিং ডিউটি আর বহাল না রাখার জন্য ভারতকে অনুরোধ করা হয়েছে। তারা ডিউটি প্রত্যাহারের বিষয়ে সক্রিয়ভাবে বিবেচনা করার আশ্বাস দিয়েছে।’

সভায় প্রস্তাবিত বাংলাদেশ-ভারত কম্প্রেহেনসিভ ইকোনমিক পার্টনারশিপ এগ্রিমেন্ট (সেপা) নামে বাণিজ্য চুক্তি কম সময়ের মধ্যে সম্পাদনের বিষয়ে উভয় দেশ একমত হয়েছে।

বাণিজ্য মন্ত্রী আশা করছেন, দ্রুত সময়ের মধ্যে চুক্তি সম্পন্ন করা যাবে।

টিপু মুনশি আরো বলেন, ‘ভারত বাংলাদেশ দুই দেশ নিজস্ব মুদ্রায় আমদানি-রপ্তানি বা কারেন্সি সোয়াপ করতে পারে কিনা, সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। তবে বিষয়টি এখনো প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। কারণ, কারেন্সি সোয়পের ফলে বাংলাদেশ কী পরিমাণ সুবিধা পাবে, তা আগে দেখা হবে।’

এ ছাড়া ভারতের পক্ষ হতে করোনার কারণে বন্ধ থাকা বর্ডার হাটগুলো ফের চালু করার বিষয়টি উপস্থাপন করা হলে সেগুলো চালুর কার্যক্রম এরই মধ্যে নেয়া হয়েছে বলে বাংলাদেশের পক্ষ হতে অবহিত করা হয়। 

টিপু মুনশি জানান, উভয় দেশ দশটি বর্ডার হাট চালুর বিষয়ে একমত হয়েছে। বর্তমানে তিনটি বর্ডার হাট চালু আছে, খুব শিগগিরই আরো একটি হাট চালু হবে।

সফরকালে বাণিজ্য মন্ত্রী টিপু মুনশি ভারতের বাণিজ্য মন্ত্রী ছাড়াও সে দেশের অর্থ মন্ত্রী শ্রীমতি নির্মলা সীতারামনের সাথে সৌজন্য সাক্ষাত করেন।

সংবাদ সম্মেলনে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ, অতিরিক্ত সচিব (এফটিএ) নূর মো. মাহবুবুল হক, ডব্লিউটিও সেলের মহা পরিচালক মো. হাফিজুর রহমান, অতিরিক্ত সচিব (রপ্তানি) মো. আব্দুর রহিম খান উপস্থিত ছিলেন।