রবিবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪

শিরোনাম

বিটিভি চট্টগ্রাম কেন্দ্রের অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনা নিয়ে শিল্পীদের ক্ষোভ

শনিবার, ডিসেম্বর ৩০, ২০২৩

প্রিন্ট করুন

চট্টগ্রাম: বাংলাদেশ টেলিভিশন (বিটিভি) চট্টগ্রাম কেন্দ্রের অনিয়ম, অব্যবস্থাপনা, শিল্পীদের সম্মানী থেকে ১৫ শতাংশ ভ্যাট কাটা, ঢাকার শিল্পীপ্রীতি ইত্যাদি নিয়ে শিল্পীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। আর ক্ষোভ প্রকাশের জন্য শিল্পীরা বেচে নিয়েছেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম।

শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে নাট্যজন শাহীন চৌধুরী লিখেছেন ‘বাংলাদেশ টেলিভিশন চট্টগ্রাম আমাদের আরেক গোদের উপর বিষঁপোড়া। একটা অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে ৯০০ টাকা সন্মানী। রিহার্সালে গাড়ি ভাড়া ৩০০ টাকা, রেকর্ডিংয়ের দিন গাড়ি ভাড়া ২৪০ টাকা, আবার চেক আনতে যাওয়া গাড়ি ভাড়া ২৪০ টাকা, স্টাম্প লাগানো ১৫ টাকা, শিল্পীর নামক ব্যক্তির মোট খরচ চলে যায় ৭৯৫ টাকা, সর্বশেষ শিল্পী সন্মান পেল ১০৫ টাকা।’

শাহীন চৌধুরী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘এ প্রতিষ্ঠান কাদের জন্য! কিছু প্রযোজক, জিএম বাঁচানোর জন্য রাষ্ট্রের সেবা দেয়া? দিন দিন দেখছি এসব বাড়ছে। এখন আবার ১৫ শতাংশ ভ্যাট কাটা হচ্ছে নতুন জিএমকালে। প্রতিটি অনুষ্ঠানের টেকনিকেল খরচই শিল্পীদের সন্মানকে মাড়িয়ে দেয়। আবার ঢাকা থেকে তারা আসলে তাদের থাকা, খাওয়া, বিমানে আসা-যাওয়া খরচ আবার বিশাল সন্মানিটা তখন গদগদ করে বেড়িয়ে যায়। চট্টগ্রামের টেলিভিশনে চট্টগ্রামের শিল্পীরা মজুর বনে গেছে। আলেচনা, টক শো, ম্যাগাজিন, গানের প্রোগ্রামে ঘুরপাক খাচ্ছে। কারণ, সহজ অনুষ্ঠানগুলোর দিকে চোখ নিবদ্ধ। আমরাও কিছু মানুষ ঘুরেফিরে ওখানে দৌঁড়াচ্ছি। ঘুরেফিরে একই মুখ।’

ওই পোস্টে নিশীথ শামীম নামে একজন কমেন্টে করেছেন, ‘বাংলাদেশে শিল্প চর্চার অন্ধকার যুগ চলছে। সামনে এর চাইতে ভয়াবহ অবস্থা আরো দেখতে পাবেন। বিশ কাঁটালি নামে এক আগাছা আছে; যা কোন জমিতে ছড়িয়ে পড়লে সেই জমিতে পা রাখা যায় না। শিল্পীরা না খেয়ে বাঁচে না; তার দোষ সে শিল্পকে ভালবাসে। তাই এমন আচরণ মেনে লয়।’

এর কিছু দিন আগে সায়েম উদ্দিন নামের এক শিল্পীও বিটিভি চট্টগ্রাম কেন্দ্র নিয়ে ফেসবুকে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন। তিনি লিখেছিলেন, ‘বাংলাদেশ টেলিভিশন চট্টগ্রাম কেন্দ্র কাদের জন্য? নরমাল নাটক-নাটিকা-ম্যাগাজিন অনুষ্ঠানসহ স্পেশাল পোগ্রামগুলোতেও ঢাকার আর্টিস্টদের নিতেই হয়! এটা কি প্রযোজকদের দৈন্যতা নাকি চট্টগ্রামে আর্টিস্টদের সংকট যাচ্ছে? নিরুত্তরে ২৭ বছর কাটাল চট্টগ্রাম কেন্দ্র।’

আখতার হোসেন নামে আরেকজন লিখেছেন, ‘গত রাতে বসে বিটিভি চট্টগ্রাম কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে আয়োজিত অনুষ্ঠান দেখছিলাম। এক কথায় বলা যায়, পুরোটাই ‘বেদের মেয়ে জোছনা’ বা চট্টগ্রামের বিয়ে-শাদির গায়ে হলুদের অনুষ্ঠানের মত। চট্টগ্রামের সংস্কৃতিকে তুলে ধরতে গিয়ে আগাগোড়া গাঁইয়ামিতে ভরা অনুষ্ঠান, যেখানে আবার জায়েদ খান অন্যতম প্রধান অতিথি। এত নিম্নরুচি ও সাংস্কৃতিক মানহীনহীন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে যেভাবে চট্টগামের সংস্কৃতিকে উপস্থাপন করা হয়েছে, তাতে দেশে-বিদেশে চাটগাঁইয়াদের হাসির খোরাকে পরিণত করা হয়েছে। আমরা আসলেই গাঁইয়াই রয়ে গেলাম।’