ঢাকা: মহাকালের আবর্তে বিলীন হতে যাচ্ছে ২০২২ সাল। এ বছরের সব দুঃখ-বেদনা ভুলে শনিবার (৩১ ডিস্বের) মধ্যরাতে পৃথিবীর সাথে বাংলাদেশও নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে নতুন আশা নিয়ে বরণ করবে ২০২৩ সালকে। বিশ্বজুড়ে এবারো কোটি কোটি মানুষ নতুন বছরকে স্বাগত জানাবে। বিদায় ২০২২, স্বাগত ২০২৩ সাল।
ইংরেজি নব বর্ষ বরণ অনুষ্ঠান উদযাপন উপলক্ষে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) পক্ষ থেকে বেশ কিছু নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। নির্দেশনায় নগরবাসীকে থার্টি ফার্স্ট উপলক্ষে কোন আতশবাজি, পটকা কিংবা ফানুস না ওড়াতে অনুরোধ জানানো হয়েছে। ‘খ্রিষ্টীয় নব বর্ষ- ২০২৩’ উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো: আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণীতে দেশবাসীকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন।
‘খ্রিষ্টীয় নববর্ষ ২০২৩ উপলক্ষ্যে দেশবাসীকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘নব বর্ষ সকলের মাঝে জাগায় প্রাণের নতুন স্পন্দন, নতুন আশা, নতুন সম্ভাবনা। সময়ের চিরায়ত আবর্তনে খ্রিষ্টীয় নব বর্ষ আমাদের মাঝে সমাগত। নতুনকে বরণ করা মানুষের স্বভাবজাত প্রবৃত্তি।’
বিরাজমান বৈশ্বিক পরিস্থিতিতে সমাজের সচ্ছল ব্যক্তিদের প্রতি দু:স্থ, অসহায় মানুষের সহায়তায় এগিয়ে আসার আহবান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘প্রতি বছর নব বর্ষকে বরণ করতে বাংলাদেশসহ বিশ্বব্যাপী বর্ণাঢ্য নানা আয়োজন করা হলেও করোনা মহামারির কারণে বিগত দুই বছর উৎসবের আমেজ ছিল অনেকটাই ম্লান। এবার তার সাথে যুক্ত হয়েছে রাশিয়া-ইউক্রেন সংকট। ফলে বিশ্ব অর্থনীতিতে মন্দা দেখা দিয়েছে ও মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে।’
‘খ্রিষ্টীয় নতুন বছর ২০২৩ উপলক্ষ্যে দেশবাসী ও প্রবাসী বাঙালিসহ বিশ্ববাসীকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘২০২২ সাল বাংলাদেশের অবকাঠামো উন্নয়নের এক স্বর্ণযুগ। আমরা গত বছর ২৬ জুন দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রের জাল ছিন্ন করে নিজস্ব অর্থায়নে নির্মিত পদ্মাসেতু চালু করেছি। ২৮ ডিসেম্বর উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত ১৪ কিলোমিটার মেট্রোরেল যোগাযোগ চালু করেছি। ২১ ডিসেম্বর দেশের ৫০টি জেলায় উন্নয়নকৃত ১০০টি মহাসড়ক উদ্বোধন করেছি।’
তিনি আরো বলেন, ‘২৬ নভেম্বর দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে প্রথম চট্টগ্রামে কর্ণফুলি নদীর তলদেশে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল’-এর দক্ষিণ টিউবের পূর্ত কাজ সম্পন্ন করেছি। ৭ নভেম্বর দেশের ২৫টি জেলায় ১০০টি সেতু নির্মাণ করে উদ্বোধন করেছি। ১৯ অক্টোবর রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ইউনিট-২ এর রিঅ্যাক্টও প্রেসার ভেসেল স্থাপন করেছি। ২১ মার্চ পায়রা এক হাজার ৩২০ মেগাওয়াট তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র (প্রথম পর্যায়) উদ্বোধন করেছি। আমাদের অন্যান্য মেগা ও মাঝারিসহ সব অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পগুলোর কাজও পুরোদমে এগিয়ে যাচ্ছে।’
নব বর্ষ মানেই সকলের মাঝে জাগায় প্রাণের নতুন স্পন্দন, নতুন আশা, নতুন সম্ভাবনা। বিগত বছরের সুখ-দুঃখ, আনন্দ-বেদনা পেছনে ফেলে নতুন বছরে অমিত সম্ভাবনার পথে এগিয়ে যাওয়া।