সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪

শিরোনাম

বেশি ঘুমাতে রাত আটটার পর অনুষ্ঠানে না যাওয়ার পরিকল্পনা বাইডেনের

শুক্রবার, জুলাই ৫, ২০২৪

প্রিন্ট করুন
জো বাইডেন

ওয়াশিংটন, যুক্তরাষ্ট্র: আরো বেশি সময় ঘুমাতে রাত আটটার পর কোন অনুষ্ঠানে না যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। বুধবার (৩ জুলাই) ডেমোক্র্যাটিক দলীয় গভর্নরদের তিনি এ কথা জানান। অন্তত তিনটি সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। সংবাদ সিএনএন, নিউইয়র্ক টাইমসের।

তবে, যেসব ডেমোক্র্যাটিক গভর্নর ওই বৈঠকে অংশ নিয়েছিলেন বাইডেনের এমন পরিকল্পনায় তাদের কয়েকজন বেশ আশাহত হয়েছেন বলে একটি সূত্র জানিয়েছে।

বাইডেনের এমন মন্তব্য নিয়ে প্রেসিডেন্টের দফতর হোয়াইট হাউস তাৎক্ষণিকভাবে কোন মন্তব্য করেনি। বাইডেনের নির্বাচনী ক্যাম্পেইনের মুখপাত্র কেভিন মুনোজ ব্যাপারটিকে উড়িয়ে দিয়েছেন।

তিনি বলেছেন, ‘প্রেসিডেন্ট জর্জ বুশ রাত নয়টায় ঘুমিয়ে যেতেন। বারাক ওবামা সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় রাতের খাদ্য খেয়ে নিতেন। সাধারণ প্রেসিডেন্টরা একটি ভারসাম্য রেখে চলেন। বাইডেনও একই কাজ করেন। অন্যরা ট্রাম্পের মত নয়। যিনি সামাজিক মাধ্যম ট্রুথে দিনের অর্ধেক সময় এমন ব্যাপার নিয়ে কথা বলেন, যেগুলোর কারণে মন্দা তৈরি হবে। আর দিনের বাকি অর্ধেক সময় গলফ খেলেন।’

বৈঠকে বাইডেন গভর্নরদের সাথে মজা করে বলেছেন, ‘আমি ভাল আছি- যদিও আমার মস্তিষ্ক সম্পর্কে জানি না।’

প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাথে টিভি বিতর্কের পর বাইডেনের জনপ্রিয়তায় ধস নামে। বিতর্কে হেরে যাওয়ার কারণে গুঞ্জন শুরু হয় যে, বাইডেন পদত্যাগ করতে পারেন। এমনকি তার দল ডেমোক্রেটিক পার্টির এক-তৃতীয়াংশ মনে করেন, নির্বাচনী দৌড় থেকে সরে দাঁড়ানো উচিত বাইডেনের।

তবে, ৮১ বছর বয়সি বাইডেন জানিয়েছেন, আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে তিনি সরে যাচ্ছেন না। বিতর্কে ‘পিছিয়ে পড়ায়’ ব্যাপক সমালোচনার মুখে ভাল না করার ব্যাখ্যা দিয়েছেন তিনি। খারাপ পারফরম্যান্সের জন্য ‘জেট ল্যাগ’কে দায়ী করেছেন বাইডেন। তার দাবি, একের পর এক সফরের কারণে তিনি ক্লান্ত ছিলেন। আর সেই ক্লান্তির রেশই পড়েছে তার বক্তৃতায়।

তহবিল দাতাদের উদ্দেশে বাইডেন বলেন, ‘এটা কোন বাহানা নয়, ব্যাখ্যা।’

তিনি বলেন, ‘বিতর্কের পূর্বে অল্প সময়ের মধ্যে বেশ কয়েকটি দেশ ভ্রমণ করার জন্য আমি যথেষ্ট স্মার্ট নই।’

বাইডেন আরো বলেন, ‘আমি কর্মীদের কথা শুনিনি। আর আমি মঞ্চে প্রায় ঘুমিয়ে পড়েছিলাম।’