নিউজ ডেস্ক: রেস্টুরেন্ট মালিকরা জানান, গ্রেপ্তার আতঙ্কে অনেক অনথিবদ্ধ অভিবাসী বাইরে খেতে বা শপিং করতে বের হচ্ছেন না। এসব অভিবাসী মনে করছেন, কোনো রেস্টুরেন্ট বা দোকানের ভেতর থাকা তাদের বেশি ঝুঁকিপূর্ণ করে তোলে। আপার বের পার্শ্ববর্তী ব্রুকলিনের দক্ষিণপশ্চিমাঞ্চলীয় সানসেট পার্ক এলাকায় বসবাস অনেক অভিবাসীর। সেখানকার ফিফথ এভিনিউর রেস্টুরেন্টগুলো ল্যাটিন অ্যামেরিকার হরেক পদের খাবার পরিবেশন করে স্বাভাবিক সময়ে, তবে সম্প্রতি ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট-আইস এজেন্টদের আনাগোনা সে বাস্তবতা পাল্টে দিয়েছে বলে এনওয়াই ডেইলি নিউজকে জানিয়েছেন ল্যাটিনো রেস্টুরেন্ট মালিকরা।
তাদের ভাষ্য, এলাকায় আইস এজেন্টদের দেখা এবং ম্যানহাটনের অভিবাসন আদালতে সাম্প্রতিক গ্রেপ্তার ভীতি ছড়িয়েছে সানসেট পার্কে; কমে গেছে বিক্রি। রেস্টুরেন্ট মালিকরা জানান, গ্রেপ্তার আতঙ্কে অনেক অনথিবদ্ধ অভিবাসী বাইরে খেতে বা শপিং করতে বের হচ্ছেন না। এসব অভিবাসী মনে করছেন, কোনো রেস্টুরেন্ট বা দোকানের ভেতর থাকা তাদের বেশি ঝুঁকিপূর্ণ করে তোলে।
অভিবাসীদের ওপর ট্রাম্প প্রশাসনের ধরপাকড়ের প্রভাবে নিউ ইয়র্ক সিটিতে ঘটেছে ছন্দপতন। তার একটি চিত্র উঠে এসেছে রেস্টুরেন্ট মালিকদের বক্তব্যে।
ভুক্তভোগীর ভাষ্য
হিলটপ পার্কের কাছে গুয়াতেমালার রেস্টুরেন্ট ও মুদি দোকান চালান ৬২ বছর বয়সী এক নারী।
তিনি জানান, গত তিন সপ্তাহে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে বিক্রি কমে গেছে ৩০ শতাংশ। দিনে দুই হাজার ৪০০ ডলারের পরিবর্তে এখন পণ্য বিক্রি হচ্ছে এক হাজার ৭০০ থেকে এক হাজার ৮০০ ডলারের।
ওই নারী এনওয়াই ডেইলি নিউজকে বলেন, ‘এটি আমার জন্য কঠিন সময়। এটা আমাকে আক্রান্ত করছে। খুব ধীরগতি চলছে।
‘অনেক লোক (রেস্টুরেন্টে) আসতে চান না এ জন্য যে, তারা জানেন না, কী চলছে এ মুহূর্তে।’
এ প্রতিবেদনের অংশ হিসেবে কথা বলা অন্য অনেকের মতো তিনিও নাম প্রকাশ করতে চাননি।
রেস্টুরেন্ট মালিক জানান, ফেব্রুয়ারিতে ফিফথ এভিনিউতে প্রায় দুই সপ্তাহ সুনির্দিষ্ট ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারে আইস এজেন্টদের তল্লাশি দেখেছেন তিনি।
অতি সম্প্রতি সানসেট পার্কের উত্তরপূর্ব কোণে আইস সদস্যদের দেখা যাওয়ার গুঞ্জনের আলোচনায় ভরে ওঠে অভিবাসীদের গ্রুপ চ্যাট।
ওই নারী জানান, আইসের বিচরণের মতো ঘটনা তার নিয়মিত ক্রেতাদের, যাদের বেশির ভাগ গুয়াতেমালার অভিবাসী, মধ্যে ভীতি সৃষ্টি করে। এর ফলে তারা দোকানে আসতে চান না।