/ 
প্রিন্ট করুন
ঢাকা: ভিডিও কলের অভিজ্ঞতা সমৃদ্ধ করতে তাৎক্ষণিক যোগাযোগে মেসেজিং অ্যাপ ইমো চালু করেছে নতুন ‘আলো’ ফিচার। ইমোর স্থানীয়করণ কৌশলের অংশ হিসেবে সহজ ও অসাধারণ এ ফিচারটি আনা হয়েছে।
আলো ফিচারটি চালু করা হলে ফোন স্ক্রিনের ব্যবহৃত জায়গাগুলো আলোকিত ফ্রেমে রূপান্তরিত হবে। উদ্ভাবনী এ ফিচারটি কম আলোতেও ভিডিওর মান শত ভাগ পর্যন্ত সমৃদ্ধ করবে। আলো ফিচার ব্যবহার করে খুব সহজেই প্রিয়জনের সাথে ভিডিও কলে কথা বলতে পারবেন ব্যবহারকারী; এমনকি একদম অনুজ্জ্বল জায়গাতেও তাদের মুখ খুব স্পষ্ট দেখা যাবে। পাশাপাশি, হঠাৎ বিদ্যুৎ চলে গেলে ভিডিও কলের ক্ষেত্রে আলো ফিচারটি অত্যন্ত সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।
পরীক্ষামূলক পর্যায় চলাকালীন ৩০ শতাংশেরও বেশি ইমো ব্যবহারকারী ফিচারটি ব্যবহার শুরু করেছেন। এ ফিচারটি ব্যবহার করতে হলে ব্যবহারকারীদের অ্যাপ আপডেট করে নিতে হবে।
নিরবচ্ছিন্ন যোগাযোগ নিশ্চিত করা ও ব্যবহারকারীরা যেন তাদের ভাললাগার মুহুর্তগুলো একে অপরের সাথে ভাগাভাগি করে নিতে পারেন, এ লক্ষ্যে ‘আলো’র মত গুরুত্বপূর্ণ উদ্ভাবনী ফিচার এনেছে ইমো।
আরিফ আহমেদ নামের একজন ইমো ব্যবহারকারী আলো ফিচার নিয়ে তার অভিজ্ঞতা নিয়ে বলেন, ‘কম আলোকিত জায়গায় ভিডিও কলে কথা বলতে খুব অসুবিধা হয়। আর এ কারণে ইমোর নতুন এ আলো ফিচারটির প্রশংসা করতে হয়; ফিচারটির কারণে এখন পরিবার আর বন্ধুবান্ধবের সাথে কথা বলা আরো সুবিধাজনক হয়েছে। এখন ভিডিও কলে কথা বলার জন্য আর আলোকিত রুমে থাকা নিয়ে দুশ্চিন্তা করতে হবে না। যে কোন জায়গায় প্রয়োজন অনুযায়ী ফিচারটি চালু করে কথা বলতে পারব।’
নতুন এ ফিচারটি চালু করা প্রসঙ্গে ইমোর বিজনেস ডিরেক্টর মেহরান কবির বলেন, ‘ইমো সব সময়ই ব্যবহারকারীর প্রয়োজনকে অগ্রাধিকার দেয়ার চেষ্টা করেছে। আমাদের টিম পরিচালিত এক গবেষণায় দেখা গেছে, ৩৫ শতাংশ ভিডিও কল করা হয় তুলনামূলকভাবে অনুজ্জ্বল পরিবেশে। ব্যবহারকারীর পরিবার ও বন্ধুবান্ধবের সাথে নিরবচ্ছিন্ন যোগাযোগ নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে আমাদের টিমের প্রতিশ্রুতির বহিঃপ্রকাশ এ আলো ফিচার। আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, প্রযুক্তির লক্ষ্য হওয়া উচিত ব্যক্তির ক্ষমতায়ন ও বাহ্যিক সীমাবদ্ধতা কারণে সৃষ্ট বিভিন্ন ব্যবধান দূর করার ক্ষেত্রে ভূমিকা পালন করা। এ ফিচারের পরীক্ষামূলক পর্যায়ে আমরা অভুতপূর্ব সাড়া পেয়েছি; যা মানুষের জীবনে সত্যিকার অর্থেই পরিবর্তন আনতে আমাদের আনুষ্ঠানিকভাবে আলো ফিচার চালু করার ক্ষেত্রে উদ্বুদ্ধ করেছে।’
