ঢাকা: ঈদুল আজহার চলচ্চিত্র ‘ময়ূরাক্ষী’ সাধারণ দর্শকের মন কাড়বে বলে আশা করছেন এর নির্মাতা। তিনি জানান, ছবিটির গান, গল্প, অভিনয় সবকিছুই ভাল লাগবে মানুষের।
শনিবার (১৫ জুন) সন্ধ্যায় ঢাকা সিটির একটি রেষ্টুরেন্টে সংবাদ সম্মেলন করে এ কথা বলেন রাশিদ পলাশ।
এ বছর ঈদ-উল-আজহা উপলক্ষে সোমবার (১৭ জুন) মুক্তি পাচ্ছে রাশিদ পলাশ পরিচালিত দ্বিতীয় চলচ্চিত্র ‘ময়ূরাক্ষী’।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন চলচ্চিত্রটির নায়িকা ববি, নায়ক সুদীপ, ছবির চিত্রনাট্যকার গোলাম রাব্বানী, ছবিটির প্রযোজক চৌধুরী নিজাম নিশো, নির্বাহী প্রযোজক নির্মাতা শাহাদাৎ হোসেন লিটন, অভিনেত্রী সাদিয়া মাহি, মানিক শাহ।
সংবাদ সম্মেলনে ববি বলেন, ‘চলচ্চিত্রের প্রতিযোগিতা থাকবেই। যে চলচ্চিত্রগুলো ঈদে মুক্তি পায়, সেগুলোর টেস্ট একেকটার একেক ধরনের। গল্পও আলাদা। দর্শকরা হলে গিয়ে ‘ময়ূরাক্ষী’দেখে আমার বিশ্বাস বিভিন্ন টেস্ট পাবে।’
তিনি আরো বলেন, ‘আমি আমার চলচ্চিত্রের ব্যাপারে প্রচন্ড আশাবাদী। আমার চলচ্চিত্রের টিমের সদস্যরা অনেক হার্ড ওয়ার্ক করেছে। আমার বিশ্বাস ‘ময়ূরাক্ষী’ দেখে দর্শকদের ভাল লাগবে।’
‘ময়ূরাক্ষী’ চলচ্চিত্রে জুটি বেঁধে অভিনয় করেছেন চিত্রনায়িকা ইয়ামিন হক ববি ও সুদীপ বিশ্বাস দ্বীপ। কিছু দিন পূর্বেই প্রকাশ্যে এসেছে চলচ্চিত্রটির পোস্টার ও টিজার। টিজারে দেখা যায়, ছিনতাইকারীর কবলে পড়েছে একটি বিমান, সাহায্য চাইছেন পাইলট। গণমাধ্যমে মুহূর্তে সেই সংবাদ ছড়িয়ে পড়ে। দেশজুড়ে উত্তেজনা। টিজারের শেষে লেখা দেখা যায় ‘বেঈমান পাখির গল্প’ ।
সুদীপ বলেন, ‘আমার প্রথম চলচ্চিত্র ‘ময়ূরক্ষী’ ঈদুল আজহার মত একটা ফেস্টিভ্যালে মুক্তি পাচ্ছে আমি আনন্দিত। আশা করি, দর্শকেরও ভাল লাগবে। কারণ, সিনেমাটির জন্য আমি ও আমাদের টিম বহু পরিশ্রম করেছি। লম্বা একটা জার্নির ফসল ‘ময়ূরাক্ষী’। অন্য সিনেমার পাশাপাশি সকলে আমাদের সিনেমার পাশে থাকবেন। নিজেদের ভাল লাগা মন্দ লাগা জানাবেন।’
সিনেমার গল্প নিয়ে রাশিদ পলাশ বলেন, ‘প্রেম ও প্রতারণার একটি সত্য ঘটনার ছায়া অবলম্বনে নির্মাণ হয়েছে চলচ্চিত্রটি। বিমান ছিনতাইয়ের ঘটনা আছে। রোমান্টিক ঘরানার থ্রিলার সিনেমা এটি। আমি এ প্রথম প্রেমের ছবি বানিয়েছি। আমি সব সময় ইতিহাসভিত্তিক সিনেমা নির্মাণ করেছি। এবার যেহেতু আমার ঘরানার বাইরে রোমান্টিক সিনেমা নির্মাণ করেছি, নিজেকেই নিজে চ্যালেঞ্জ করেছি। তাই, সিনেমাটি নিয়ে আমি আশাবাদী। বাকিটা দর্শক দেখে জানাবে।’
সিনেমাটির গল্প ও চিত্রনাট্য লিখেছেন গোলাম রাব্বানী। অন্যান্য চরিত্রে অভিনয় করেছেন সাদিয়া মাহি, সুমিত সেনগুপ্ত, ফারজানা ছবি, সমু চৌধুরী, দীপক সুমন, প্রণব ঘোষ, সাবিনা পুঁথি, ফারুক, মুহিন খান, মানিক শাহ, জুলফিকার চঞ্চল, রুদ্র হক, মিতুল, কস্তূরী চৌধুরী।
সিনেমাটির সংগীত পরিচালনা করেছেন জাহিদ নিরব। গান গেয়েছেন মুহিন খান, পূর্ণতা, তরসা, জাহিদ নিরব ও শাকিলা সাকি, নাদিম ভুঁইয়া। সিনেমাটি প্রযোজনা করেছেন চৌধুরী নিজাম নিশো। নির্বাহী প্রযোজক হিসেবে আছেন নির্মাতা শাহাদাৎ হোসেন লিটন।