ইনানী, কক্সবাজার: ‘বাংলাদেশে এখনো এমন কোন পরিস্থিতি সৃষ্টি হয় নি যে, মার্কিন নাগরিকদের জন্য সতর্কতা জারি করতে হবে। বাংলাদেশকে নিয়ে ও সরকারের বিরুদ্ধে ব্যাপক হারে মিথ্যাচার করা হয়।’ বলেছেন পররাষ্ট্র মন্ত্রী একে আব্দুল মোমেন।
কক্সবাজারের ইনানীতে আন্তর্জাতিক ফ্লিট রিভিউ (আইএফআর) ২০২২ এর অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের পর বৃহস্পতিবার (৮ ডিসেম্বর) দুপুরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি কিছুটা উত্তপ্ত হওয়ার প্রেক্ষাপটে বুধবার (৭ ডিসেম্বর) অবস্থানরত মার্কিন নাগরিকদের চলাচলে সতর্কতা অবলম্বন করার নোটিশ দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
পররাষ্ট্র মন্ত্রী আরো বলেন, ‘আগে দিয়েছিল (নাগরিকদের চলাচলে সতর্কতা) যুক্তরাজ্য। আপনিই বলেন, দেশের অবস্থা কি খারাপ? দেশের অবস্থা মোটেই খারাপ না। এটা আতঙ্ক ছড়ানোর জন্য কেউ কেউ দিয়ে থাকেন। যারা দিয়ে থাকেন, তারা কোন আতঙ্ক সৃষ্টির জন্য কোন কাজকর্ম করছেন কি না, আমরা জানি না। আমাদের ইনফরমেশন অনুযায়ী, দেশে কোন আতঙ্কের শঙ্কা নেই।’
তিনি বলেন, ‘ঢাকায় কোন ঘটনা ঘটার আগেই তা ওয়াশিংটন খবর পেয়ে যায়। হোয়াইট হাউজে জানানো হয়। এ কাজে বাংলাদেশি ‘একজন সাংবাদিক’ নিযুক্ত আছেন। হোয়াইট হাউজ ও ইউএন দুই জায়গাতেই ওনার এক্সেস আছে। বাংলাদেশে কিছু হলেই তিনি সাথে সাথে প্রশ্ন করেন। অনেক ক্ষেত্রেই ওই সাংবাদিক কূটনৈতিকদের প্রশ্ন ও উত্তরও লিখে মেসেজ দেন। তবে তারা যেটা চায়, সংঘাত না হওয়া, সেটা আমরাও চাই। আমরা সর্বোচ্চ ধৈর্য ধারণ করি।’
পররাষ্ট্র মন্ত্রী বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের কোন রাস্তায় তারা বিনা অনুমতিতে সমাবেশ করতে দেয় না। হোয়াইট হাউজের সামনে বড় জনসভায় তারা রাজি হবে না। নিউইয়র্কের ম্যানহাটনের রাস্তায় সভা করার ক্ষেত্রে দে উইল নট অ্যালাউ। একশ জনের বেশি লোক সমবেত হলেই অনুমতি নেয়া বাধ্যতামূলক। তাদের (যুক্তরাষ্ট্রের) আইন আরো বেশি কঠোর। নিরাপত্তা নিতে হয়, ইন্সুরেন্স করতে হয়।’
মোমেন বলেন, ‘আমরা আমাদের পথচারীদের বাধা দিতে চাই না, বিঘ্ন দিতে চাই না। তারা (বিএনপি) আন্দোলন করতে চান, সম্মেলন করতে চান, নিশ্চয়ই হলের ভেতরে করতে পারেন, মাঠের মধ্যেও করতে পারেন। সরকার রাজি, কারণ বাংলাদেশের সব লোকের কথা বলার অধিকার আছে। সরকারের বিরুদ্ধে যে যেমন পারে, ইচ্ছামত মিথ্যাচার করে যাচ্ছে। ফেসবুক, ইউটিউব খুললেই তা দেখা যায়। এসব ক্ষেত্রে সরকার কখনোই কাউকে আক্রমণ করে নি।’
তিনি আরো বলেন, ‘আমরা শান্তি চাই। কোন ধরনের সংঘাত চাই না। কিন্তু আমাদের সরকারের বিরোধী পক্ষ সব সময়ই একটা উসকানি দিয়ে সংঘাত সৃষ্টিতে লিপ্ত। তারা চায় লাশ পড়ুক। লাশ পড়লে তাদের সুবিধা হয়। ‘পাবলিকের সেন্টিমেন্ট’ পায়।’