নিউইয়র্ক, যুক্তরাষ্ট্র: ‘চিন্তা, বিশ্বাস ও ইবাদতে ভারসাম্য রক্ষা করা সব মুমিনের কর্তব্য। মুসলমান জাতি মধ্যমপন্থা অর্থাৎ, ভারসাম্য জীবন অবলম্বন করেন। ভারসাম্যতা জীবনের ভিত্তিকে মজবুত করে।’
রোববার (১৮ জুন) মুসলিম উম্মাহ অফ নর্থ আমেরিকার (মুনা) দিনব্যাপী শিক্ষা বৈঠকে আলোচকরা এসব কথা বলেন। মুনার নিউইয়র্ক নর্থ জোনে আয়োজনে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় নিউইয়র্ক সিটির হলিশে মুনা সেন্টার অফ জ্যামাইকা মিলনায়তনে।
বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন জোনের সভাপতি মো. রাশেদুজ্জামান। বিষয় ভিত্তিক আলোচনা করেন মুনার ন্যাশনাল প্রেসিডেন্ট হারুন অর রশীদ, সাবেক ন্যাশনাল প্রেসিডেন্ট ইমাম দেলোয়ার হোসাইন, ন্যাশনাল এক্সিকিউটিভ ডাইরেক্টর আরমান চৌধুরী, কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরার সদস্য আব্দুল্লাহ আল আরিফ।
মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন মজলিশে শুরা সদস্য আতাউল গণী ওসমানী। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন জোনের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা তোয়াহা আমিন খান।
বৈঠকে আলোচকরা বলেন, ‘হযরত মোহাম্মদ (সা.) আল্লাহর শেষ নবী। তারপর আর কোন নবী-রাসুল পৃথিবীতে আসবে না। তার মনোনীত জীবন ব্যবস্থার নাম ইসলাম। ইসলাম ধর্মকে আল্লাহ সব ধর্মের উপর শ্রেষ্ঠত্ব দান করেছেন। ইসলামের মৌলিক সৌন্দর্য্যকে তুলে ধরা সব ঈমানদারের নৈতিক দায়িত্ব।’
দাওয়াতে দ্বীনের পাশাপাশি সমাজ কল্যাণমূলক কাজের গুরুত্বারোপ করে বক্তারা বলেন, ‘সমাজের সব শ্রেণীর লোকের সাথে মিশে প্রমাণ করতে হবে, আমরা দায়ী ইলাল্লাহের কাজ করছি। সমাজের চাহিদা কি, তা চিহিৃত করে সমাধানের চেষ্টা করতে হবে। প্রতিবেশীর সাথে রাখতে হবে সুসর্ম্পক। এটাই ইসলামের নৈতিক শিক্ষা।’
বর্তমান সমাজে দ্বীনি কাজ সস্প্রসারণে আল্লাহ ও তার রাসুলের প্রতি বিশুদ্ধ ঈমান আর কুরআন-হাদিসের জ্ঞানার্জনের দিকে বিশেষ নজর রাখার তাগিদ দেন আলোচকরা।
কুরআনের আয়াত উল্লেখ করে কক্তারা বলেন, ‘আর এভাবেই আমি তোমাদেরকে মধ্যপন্থি উম্মত বানিয়েছি; যাতে তোমরা মানুষের ওপর সাক্ষী হও এবং রাসুল সাক্ষী হন তোমাদের ওপর।’ (সুরা বাকারা আয়াত : ১৪৩)। জীবনের সব ক্ষেত্রে ভারসাম্য রক্ষা করা ঈমানি দায়িত্ব।’
অনুষ্ঠানের সাবির্ক সহযোগিতায় ছিলেন নিউইয়র্ক নর্থ জোন কর্মপরিষদের সদস্য দিদারুল আলম, দেলোয়ার মজুমদার, মমিনুল ইসলাম মজুমদার, মঞ্জুর আহমেদ, আবুল হাশেম, সামছুল আলম, মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ।