শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪

শিরোনাম

মেঘনায় প্রজনন মৌসুমেও ইলিশ ধরছেন লক্ষ্মীপুরে জেলেরা

রবিবার, অক্টোবর ৯, ২০২২

প্রিন্ট করুন

আবীর আকাশ, লক্ষ্মীপুর: মা ইলিশ বাঁচলে পরে, ইলিশ আসবে জাল ভরে’ এ স্লোগান নিয়ে লক্ষ্মীপুর জেলা ও উপজেলা প্রশাসন ও মৎস্য অধিদপ্তর ডিমওয়ালা ইলিশ শিকার বন্ধে প্রচারণা ও বিভিন্নভাবে সভা সেমিনার করেও ইলিশ মাছ ধরা ঠেকাতে পারছে না। জেলেরা নানা উপায়ে মেঘনায় ইলিশ ধরছেন। কেউ রাতের আঁধারে, কেউ কোস্টগার্ড বা নৌ-পুলিশের অসাধু ব্যক্তিদের ম্যানেজ করে মাছ শিকারে নামছেন।

মৎস্য অফিস বলছে, ‘চাঁদপুরের ষাটনল থেকে লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার আলেকজান্ডার পর্যন্ত মেঘনা নদী অববাহিকায় ১০০ কিলোমিটার এলাকায় ২২ দিন নদীতে মাছ ধরা, আহরণ, বাজারজাতকরণ, বিক্রি ও পরিবহন নিষিদ্ধ করা হয়েছে।’

আশ্বিনের পূর্ণিমার জোয়ার ইলিশের ভরা প্রজনন মৌসুম। ইলিশ ডিম ছাড়ার সময় হলে সাগরের লোনা পানি থেকে ভোলা, বরিশাল, বরগুনা, লক্ষ্মীপুর, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, ফেনী, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার জেলার উপকূলীয় এলাকার মিঠা পানিতে প্রবেশ করে। প্রজননের পর ডিম থেকে উৎপাদিত লাখ লাখ পোনা প্রথমে জাটকা ও পরে বড় ইলিশে পরিণত হয়। তাই ইলিশ মাছের অবাধ প্রজনন ও ডিম ছাড়ার সুযোগ দিতে এ বছর সর্বোচ্চ প্রজনন মৌসুমে ইলিশ ধরা থেকে বিরত থেকে জাতীয় সম্পদ ইলিশ উৎপাদন বাড়াতে সরকার এ উদ্যোগ নিয়েছে।

লক্ষ্মীপুর মৎস্য কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম জানান, নিষিদ্ধ সময়ে নদীতে ইলিশ মাছ ধরা নিষেধ। এ সময় কেউ আইন ভঙ্গ করে নদীতে নামলে তাকে এক মাস থেকে এক বছরের জেল ও সর্বোচ্ছ পাঁচ হাজার টাকা জরিমানার করার বিধান রয়েছে।’

এ বিষয়ে সকলের সার্বিক সহযোগীতা কামনা করেন তিনি।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: ইমরান হোসেন বলেন, ‘২২ দিন যাতে কোন জেলে মেঘনা নদীতে মাছ না ধরতে পারে, সেই জন্য উপজেলা প্রশাসন, কোষ্টগার্ড, পুলিশ, মৎস্য বিভাগকে প্রস্তত রাখা হয়েছে। এ ছাড়া আইন অমান্যকারীদের ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট তোহিদুল ইসলাম জানান, ইতিমধ্যে বিভিন্ন স্থানের নিষিদ্ধ সময়ে নদীতে ইলিশ না ধরতে অবহিতকরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। নিষিদ্ধ সময়ে আইন ভঙ্গ করার চেষ্টা করলে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। আমরা জাতীয় সম্পদ ইলিশ রক্ষায় সকলকে নিয়ে কাজ করতে চাই। আশা করি, জেলেরা নিষিদ্ধ সময়ে নদীতে মাছ ধরবে না। যদি ধরার চেষ্টা করে তা হলে আইন ভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে।