চট্টগ্রাম: অতিপ্রবল হয়ে ওঠা ঘূর্ণিঝড় `মোখা’র প্রভাবে চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর প্রাথমিকভাবে ৪২ ঘণ্টা বন্ধ রাখার ঘোষণা দেয়া হয়েছে। শনিবার (১৩ মে) ভোর ছয়টা থেকে রোববার (১৪ মে) রাত ১২টা পর্যন্ত বিমানবন্দরে ফ্লাইট ওঠানামা বন্ধ থাকবে। আবহাওয়া পরিস্থিতি দেখে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিমানবন্দরের পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন তাসলিম আহমেদ।
এ দিকে চট্টগ্রাম বন্দরে অ্যালার্ট-৪’ জারি করা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের কারণে পণ্য খালাস বন্ধ করে দিয়েছে দেশের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যের প্রায় ৯২ শতাংশ নিয়ন্ত্রক চট্টগ্রাম বন্দর। জেটিতে অবস্থানরত বড জাহাজগুলোকে বহিনোঙ্গরে চলে যেতে বলা হয়েছে। লাইটার জাহাজগুলোকে কর্ণফুলী নদীর শাহ আমানত সেতু এলাকার দিকে নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের (চবক) সচিব ওমর ফারুক বলেন, ‘আমরা আগে থেকে প্রস্তুতি নিয়েছি। সেই অনুযায়ী কাজ চলছে। কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। বড় জাহাজগুলো বন্দর থেকে বের করে দেয়া হয়েছে। এগুলো ইঞ্জিন চালু রেখে বহিনোঙ্গরে থাকবে।’
তিনি জানান, ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে সর্বোচ্চ সতর্কতা হিসেবে অ্যালার্ট-৪’ জারি করেছে চবক। পাশাপাশি, জেটিতে থাকা জাহাজগুলোকে বহির্নোঙ্গরে সরিয়ে নেয়া হচ্ছে।
বন্দর সূত্রে জানা গেছে, আবহাওয়া অধিদপ্তর তিন নম্বর সংকেত জারি করলে চবক প্রথম পর্যায়ের সতর্কতা বা ‘অ্যালার্ট-১’ জারি করে। আবহাওয়া অধিদপ্তর চার নম্বর সংকেত জারি করলে বন্দর অ্যালার্ট-২ জারি করে। বিপদ সংকেত ৫, ৬ ও ৭ নম্বরের জন্য বন্দরের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সতর্কতা অ্যালার্ট-৩ জারি করা হয়। মহাবিপদ সংকেত ৮, ৯ ও ১০ হলে বন্দরেও সর্বোচ্চ সতর্কতা বা অ্যালার্ট-৪ জারি করা হয়। সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি হলে বন্দর জেটিতে অবস্থানরত জাহাজগুলোকে সরিয়ে নেয়া হয়।