শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪

শিরোনাম

যুক্তরাজ্য ও অস্ট্রেলিয়াকে সাথে নিয়ে যৌথ বিমান মহড়া যুক্তরাষ্ট্রের

শুক্রবার, ফেব্রুয়ারী ১০, ২০২৩

প্রিন্ট করুন

নেভাদা, যুক্তরাষ্ট্র: গোয়েন্দা বেলুনকাণ্ড নিয়ে ওয়াশিংটন-বেইজিং উত্তেজনার মধ্যেই এবার যুক্তরাজ্য ও অস্ট্রেলিয়াকে সাথে নিয়ে যৌথ বিমান মহড়া চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। বুধবার (৮ ফেব্রুয়ারি) যুক্তরাষ্ট্রের নেভাদা অঙ্গরাজ্য ও এর আশপাশের অঞ্চলের আকাশে এ মহড়া চালানো হয়। খবর রয়টার্সের।

‘আকাশপথে চীনা হুমকির বিরুদ্ধে নিজেদের সক্ষমতা যাচাইয়ের জন্যই এ মহড়া।’ বলছে যুক্তরাষ্ট্রের বিমান বাহিনী। এ ছাড়া, প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের সুরক্ষা নিশ্চিত করাও এ মহড়ার উদ্দেশ্য বলে জানিয়েছে ওয়াশিংটন। এ দিকে, বেলুনকাণ্ডের পরও যুক্তরাষ্ট্র-চীনের সম্পর্কে বড় ধরনের পরিবর্তন আসবে না বলে মন্তব্য করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।

তিন সপ্তাহব্যাপী এ মহড়ায় অংশ নেয় যুক্তরাজ্যের কেসি-টু ভয়েজার রিফুয়েলিং ট্যাংকার উড়োজাহাজ ও তিন দেশের অত্যাধুনিক সব যুদ্ধবিমান। বিভিন্ন প্রতিকূল পরিস্থিতিতে শত্রুর যুদ্ধ বিমানের হামলা মোকাবিলায় নানা কৌশলে যাচাই করে দেখা হয় মহড়ায়।

যুক্তরাষ্ট্রের বিমান বাহিনীর ৪১৪ কমব্যাট ট্রেনিং স্কোয়াড্রনের কর্নেল জারড জে হাচিনসন বেইজিংয়ের প্রতি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, ‘আকাশপথে চীনা হুমকি মোকাবিলা করতে বদ্ধপরিকর যুক্তরাষ্ট্র।’ চীনের বিরুদ্ধে নিজেদের সক্ষমতা যাচাইয়ের জন্যই এ মহড়া চালানো হয়েছে বলে জানান হাচিনসন।

কর্নেল হাচিনসন আরো বলেন, ‘চীনের হুমকিকে প্রাধান্য দিয়েই আজকের মহড়া পরিচালিত হয়েছে। তবে এর সাথে রাজনৈতিক কোন ইস্যু জড়িত নেই। ক্রমবর্ধমান চ্যালেঞ্জ মোকাবিলাই আমাদের লক্ষ্য।’

তবে তিন দেশ আকাশপথে যৌথ মহড়া চালালেও বেলুনকাণ্ডে বেইজিং-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কে উল্লেখযোগ্য কোন পরিবর্তন আসবে না বলে মন্তব্য করেছেন জো বাইডেন। বুধবার (৮ ফেব্রুয়ারি) স্থানীয় একটি টিভি চ্যানেলকে দেয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের আকাশের বেলুন প্রবেশের ঘটনার আগে ওয়াশিংটন-বেইজিং যেভাবে বিভিন্ন ইস্যুতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করত, ভবিষ্যতেও দুই দেশের আচরণ তেমনটাই থাকবে।’