রবিবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪

শিরোনাম

যুক্তরাষ্ট্রে দেখা দিল পৃথিবীর নয়া ত্রাস ‘জম্বি ডিয়ার ডিজিজ’

শুক্রবার, ডিসেম্বর ২৯, ২০২৩

প্রিন্ট করুন

মন্টানা/ইডাহো, যুক্তরাষ্ট্র: যুক্তরাষ্ট্রে প্রাণীদেহে একেবারে নয়া ধরনের একটি রোগ ধরা পড়েছে। রোগটা এখন দেশজুড়ে ছড়িয়ে পড়ছে বলে জানানো হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা এরই মধ্যে এই রোগ নিয়ে সতর্কতা জারি করেছেন। তারা বলছেন, ‘রোগটি মানুষের দেহেও সংক্রমিত হতে পারে।’

সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের ইয়েলোস্টোন ন্যাশনাল পার্কে প্রাণীদেহে রোগটি প্রথম শনাক্ত হয়। এর নানা বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী বিজ্ঞানীরা একে বিভিন্ন নামে ডাকছেন। কখনো ‘স্লো মুভিং ডিজাস্টার’, কখনো ‘জম্বি ডিয়ার ডিজিজ’ আবার কখনো ক্রনিং ওয়েস্টিং ডিজিজ বলছেন।

সাধারণত হরিণ, রেনডিয়ার, এল্ক ও আমেরিকান হরিণের মধ্যে রোগটি ছড়াচ্ছে। এই রোগ সরাসরি পশুর মস্তিষ্কে আক্রমণ করে। এই রোগে পশু ঝিমিয়ে পড়ে, দল থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়, চোখে ঝাপসা দেখতে থাকে ও ধীরে ধীরে মৃত্যুর দিকে এগিয়ে যায়।

গবেষকরা একে প্রাণঘাতীই বলছেন। জম্বি ডিয়ার রোগের কিছু সাধারণ লক্ষণ হল হঠাৎ করে বেড়ে যাওয়া অনিদ্রা বা ডিমেনশিয়া, হ্যালুসিনেশন, হাঁটা ও কথা বলতে অসুবিধা, বিভ্রান্তি, ক্লান্তি ও পেশী শক্ত হয়ে যাওয়া।

কিন্তু, এই ভাইরাসঘটিত রোগটিকে কেন ‘জম্বি’ নাম দেয়া হয়েছে? আসলে সিডাব্লুডি রোগে আক্রান্ত হলে রোগীর হাঁটাচলা জম্বির মত অবিন্যস্ত ও বিকৃত হয়ে যায়। সেই কারণেই গবেষকরা একে ‘জম্বি ডিয়ার ডিজিজ’ অ্যাখ্যা দিয়েছেন।

গেল নভেম্বরে ইয়েলোস্টোন ন্যাশনাল পার্কে পাওয়া একটি হরিণের মৃতদেহ পরীক্ষা করে এই রোগের হদিশ পাওয়া যায়। তারপর থেকেই ভাইরাসঘটিত এই রোগ নিয়ে আশঙ্কায় বিজ্ঞানীরা।

প্রাণঘাতী এই রোগে আক্রান্ত কোন মানুষের উদাহরণ এখনো পাওয়া না গেলেও মানুষকে সতর্ক করছেন গবেষকরা। পৃথিবীর একটা বড় অংশের মানুষের প্রিয় হরিণের মাংস। আর সেই মাংস থেকেই ক্রমশ ক্ষয়কারী অসুখ বা ক্রনিক ওয়েস্টিং ডিজিজ ছড়িয়ে পড়বে মানুষের শরীরে বলে আশঙ্কা বিজ্ঞানীদের।

বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, এই ভাইরাস ঢুকলে আক্রান্তের স্বাস্থ্যকর মস্তিষ্কের প্রোটিনগুলো ভাঁজ হয়ে যায়। এই ভাইরাসগুলোও এক ধরনের প্রোটিনও বটে। যা মানুষ ও অন্যান্য প্রাণীদের দেহে জম্বি ভাইরাস রোগের সম্ভাবনা তৈরি করে।