ফ্লোরিডা, যুক্তরাষ্ট্র: যুক্তরাষ্ট্রের কয়েকটি রাজ্যে ধ্বংসলীলা চালিয়েছে হারিকেন হেলেন। ভয়াবহ দুর্যোগটিতে প্রাণহানির সংখ্যা ২১০ জন ছাড়িয়েছে বলে নিশ্চিত করা হয়েছে। কর্মকর্তারা বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) বলেছেন, ‘অর্ধ শতাব্দীরও বেশি সময়ে এটি যুক্তরাষ্ট্রের মূল ভূখণ্ডে আঘাত হানা দ্বিতীয় বৃহত্তম প্রাণঘাতি ঝড়।’ সংবাদ এএফপির।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন দেশটির দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চল সফরের দ্বিতীয় দিনে মর্মান্তিক এ দুর্যোগে কয়েক লাখ মানুষের জীবন বিপর্যস্ত করে তোলা ভয়াবহ ক্ষতিগ্রস্ত এক অঞ্চল পরিদর্শন করেন ও ক্ষতিগ্রস্ত বাসিন্দাদের প্রতি দুঃখ প্রকাশ করেন।
জর্জিয়ার রে সিটিতে ক্ষতিগ্রস্ত পেকান খামারে কিছুক্ষণ থেকে বাইডেন বলেন, ‘আমি আপনাদের দেখছি, শুনছি, আমি সহমর্মিতা জানাচ্ছি ও প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি, আমরা আপনাদের পাশে আছি। এ ঝড় শহর ও নগরগুলো প্লাবিত করেছে, অগণিত রাস্তা চলাচলের অযোগ্য করে তুলেছে, বিদ্যুৎ ও পানি পরিষেবা বন্ধ করে দিয়েছে ও সম্প্রদায়গুলোকে হতবাক করেছে।’
এএফপির সরকারি পরিসংখ্যানে, উত্তর ও দক্ষিণ ক্যারোলিনা, জর্জিয়া, ফ্লোরিডা, টেনেসি ও ভার্জিনিয়া জুড়ে ২১২ জনের মৃত্যুর ব্যাপারটি নিশ্চিত করেছে।
ঝড়ে সৃষ্ট বন্যায় প্রাণহানির মধ্যে উত্তর ক্যারোলিনায় অর্ধেকেরও বেশি। নজিরবিহীন বিপর্যয়ের সম্মুখীন হয়েছে। কেউ-কেউ একে পোস্ট-অ্যাপোক্যালিপটিক বলে বর্ণনা করেছেন।
২০০৫ সালের পর থেকে যুক্তরাষ্ট্রে মূল ভূখণ্ডে আঘাত হানা সবচেয়ে মারাত্মক হারিকেন হেলেন। ক্যাটরিনায় এক হাজার ৩৯২ জনের মৃত্যু হয়েছে।
ছয়টি রাজ্য জুড়ে সক্রিয়-কর্তব্যরত সেনাসহ শত-শত উদ্ধারকর্মী, ফেডারেল কর্মী, ন্যাশনাল গার্ড সদস্য ও স্থানীয় উদ্ধারকর্মীদের সহায়তাকারী একটি বিশাল দলের উদ্ধার প্রচেষ্টা সত্ত্বেও ধ্বংসাত্মক এ ঝড়ে মৃতের সংখ্যা আরো বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। বিচ্ছিন্ন পাহাড়ী অঞ্চলে বহু বাসিন্দা এখনো হিসেবের বাইরে রয়েছে।
ট্র্যাজেডির কেন্দ্রস্থল উত্তর ক্যারোলিনার বুনকম্বে কাউন্টিতে, ৭০ জনের বেশি মানুষের মৃত্যু নিশ্চিত হয়েছে।
পর্যটকদের কাছে প্রিয় এক লাখ জনসংখ্যার নগর অ্যাশেভিলে, মনোরম পাহাড়ের পাদদেশে রাস্তাগুলো ঘন কাদায় আচ্ছাদিত হয়ে পড়েছে। নদী তীরবর্তী ভবন ও অন্যান্য স্থাপনা ভেসে গেছে।