রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪

শিরোনাম

যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নিষেধাজ্ঞা এ মুহুর্তে রপ্তানিতে প্রভাব ফেলবে না

মঙ্গলবার, সেপ্টেম্বর ২৬, ২০২৩

প্রিন্ট করুন

ঢাকা: যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নিষেধাজ্ঞার প্রয়োগ এ মুহুর্তে রপ্তানিতে কোন ধরনের প্রভাব ফেলবে না বলে মনে করেন বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সভাপতি ফারুক হাসান।

তিনি আশা প্রকাশ করেন, ভিসা নীতিতে এমন কোন পদক্ষেপ যুক্তরাষ্ট্র নেবে না; যাতে যে সব শ্রমিক পোশাক তৈরি করে সে শ্রমিক কোনভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) সংবাদ সম্মেলনে বিজিএমইএ এর সভাপতি পোশাক খাতের সার্বিক পরিস্থিতি তুলে ধরার পাশাপাশি গণমাধ্যমকর্মীদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন।

উত্তরায় বিজিএমইএ ভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের সাবেক দুই সভাপতি ও সাংসদ সফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন আব্দুস সালাম মুর্শেদী বক্তৃতা করেন। সহসভাপতি শহিদ উল্লাহ আজিমসহ বর্তমান কমিটির নেতারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

রপ্তানি বাণিজ্যে এ মুহুর্তে যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতির প্রভাব না পড়ার কারণ ব্যাখ্যায় বিজিএমইএ এর সভাপতি বলেন, ‘ভিসা নিষেধাজ্ঞা ব্যক্তির ওপর দেয়া হয়েছে, দেশের ওপর দেওয়া হয়নি। কোন ব্যবসায়ীর ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা দেয়া হলেও ব্যবসায়-বাণিজ্যে কোন সমস্যা হবে না। কারণ, করোনার অভিজ্ঞতা বলছে, রপ্তানি বাজারে সশরীরে না গিয়েও ব্যবসায় করা সম্ভব।’

ফারুক হাসান বলেন, ‘ব্যবসায়ীদের কাজ হচ্ছে ব্যবসায় সংক্রান্ত কাজগুলো ঠিকভাবে সম্পন্ন করা। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য প্রতিনিধি ইউএসটিআরের কর্মকর্তারা বিমানবন্দর থেকে সরাসরি বিজিএমইএ এর অফিসে এসেছেন। সেখানে তারা নভেম্বরের মধ্যে শ্রমআইন সংশোধন ও শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধির বিষয়ে গুরুত্ব দিয়েছেন। বিজিএমইএ এই বিষয়গুলো নিয়ে কাজ করছে।’

সম্প্রতি পোশাক রপ্তানির আড়ালে দশটি রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে তিন কোটি ৫৩ লাখ ৬৬ হাজার ৯১৮ মার্কিন ডলার পাচার সংক্রান্ত সংবাদ প্রসঙ্গে ফারুক হাসান বলেন, ‘পাচারের অভিযোগ সঠিক নয়। এ বিষয়ে সংবাদ প্রকাশ করার মাধ্যমে দেশের ইমেজ ক্ষুন্ন করা হয়েছে, ক্রেতাদের কাছে উদ্যোক্তাদের ছোট করা হয়েছে। এর পেছনে একটি চক্র কাজ করছে। কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনা যা এখনো তদন্তই হয়নি, সেগুলো নিয়ে পুরো শিল্প খাতকে ঘিরে ঢালাও মন্তব্য মোটেও কাম্য নয়। যদি কোন প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকে, তাদের যেন বিচারের আওতায় আনা হয়।’

এ ব্যাপারে শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন বলেন, ‘এ মিথ্যাচারের মাধ্যমে আইনের ব্যত্যয় ঘটানো হয়েছে।’

তিনি তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থার জন্য সরকারের কাছে দাবি জানিয়ে বলেন, ‘যেসব কারখানার মালিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, তাদের পাশে রয়েছে দুই সংগঠন বিজিএমইএ এবং বিকেএমইএ।’

মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও কেন বিজিএমইএর পরিচালনা পর্ষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে না- এমন প্রশ্নের উত্তরে আব্দুস সালাম মুর্শেদী বলেন, ‘জাতীয় নির্বাচনের আগে এ সংগঠনগুলোর নির্বাচন কোন পক্ষ চায় না। সবাই চায় এ মুহুর্তে ব্যবসায় সঠিকভাবে চলুক।’

পোশাক খাতের আগামীর চ্যালেঞ্জ হিসেবে স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) কাতার থেকে উত্তরণ, উদ্ভাবনী পণ্যের চাহিদা যোগানসহ অন্যান্য চ্যালেঞ্জের কথা অনুষ্ঠানে তুলে ধরা হয়।