/ 
প্রিন্ট করুন
ঢাকা: আন্তঃ ও অন্তর্দলীয় সহিংসতাসহ নির্বাচন পূর্ব ও পরবর্তী সহিংসতা পর্যবেক্ষণ করতে আসা যুক্তরাষ্ট্রের যৌথ মূল্যায়ন টিমের সাথে আমার বাংলাদেশ পার্টির (এবি পার্টি) মত বিনিময় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) গুলশানস্থ একটি হোটেলে দুপুর ১২টায় এই বৈঠক শুরু হয়।
এক ঘণ্টারও বেশী সময় ধরে চলা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন এবি পার্টির যুগ্ম আহ্বায়ক তাজুল ইসলাম, সদস্য সচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু, যুগ্ম সদস্য সচিব আসাদুজ্জামান ফুয়াদ ও যোবায়ের আহমদ ভূঁইয়া এবং সহকারী সদস্য সচিব ও উইমেন উইং ইনচার্য নাসরীন সুলতানা মিলি।
যুক্তরাষ্ট্রের মূল্যায়ন টিমের সদস্যদের মধ্যে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন আইআরআইয়ের এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের সিনিয়র উপদেষ্টা জেওফ্রি ম্যাকডোনাল্ড, আইআরআই যৌথ টিমের নিরাপত্তা ও শারীরিক নির্যাতন বিশ্লেষক নেনাদ মারিনকোভিচ ও তথ্য পরিবেশ বিশ্লেষক ইভালো পেনশেভ।
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক ইনস্টিটিউট (এনডিআই) ও ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিকান ইনস্টিটিউটের (আইআরআই) পাঁচজনের যৌথ মূল্যায়ন টিম ঢাকায় এসেছে।
মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) তারা এবি পার্টির প্রতিনিধি দলকে তাদের সঙ্গে বৈঠক করার জন্য আমন্ত্রণ জানায়।
বৈঠক শেষে উপস্থিত সংবাদ মাধ্যমকর্মীদের ব্রিফ করেন এবি পার্টির যুগ্ম আহ্বায়ক তাজুল ইসলাম।
ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের যে টিম এসেছে, তারা নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করতে আসেন নি। তারা মূলত নির্বাচন পূর্ব ও পরবর্তী সহিংসতা পর্যবেক্ষণ করতে এসেছেন। যুক্তরাষ্ট্রের টিম এরমধ্যে সংঘটিত নির্বাচন কেন্দ্রিক সরকার দলীয় অন্তর্দলীয় সহিংসতা ব্যাপারে জানতে চান এবং নারী ও অন্যান্য প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর প্রতি সহিংসতা ব্যাপারে বিভিন্ন প্রশ্ন করেন।’
তাজুল ইসলাম বলেন, ‘এবি পার্টি কোনন দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনকে প্রত্যাখ্যান করেছে ও তত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনকে সমাধান হিসেবে প্রস্তাব করেছে তার যৌক্তিকতা এখন দিবালোকের মত স্পষ্ট। নির্বাচন কমিশনের সব শর্ত পূরণ সত্বেও এবি পার্টিসহ কার্যকর রাজনৈতিক দলগুলোর নিবন্ধন না দেয়ার ব্যাপারেও জানতে চান যুক্তরাষ্ট্রের টিম।
তিনি বলেন, ‘বর্তমান নির্বাচন যে একটি প্রহসনমূলক প্রক্রিয়া, তার প্রমাণ এখন সরকার দলীয় নেতাকর্মীদের আচরণেই স্পষ্ট। আমরা মনে করি, এই নির্বাচন দেশকে আরো বিভক্ত ও গভীর সংকটে নিপতিত করবে।’
সরকার দলীয় সন্ত্রাসীদের নির্বাচনি সহিংসতার ফলে দেশের গণতন্ত্র ও মানবাধিকার পরিস্থিতির ভয়াবহ বিপর্যয় ঘটবে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেন তাজুল ইসলাম।
