শুক্রবার, ০১ নভেম্বর ২০২৪

শিরোনাম

যুক্তরাষ্ট্রের সাথে বাণিজ্য আরো জোরদার করতে চায় এফবিসিসিআই

বৃহস্পতিবার, আগস্ট ২৪, ২০২৩

প্রিন্ট করুন

ঢাকা: যুক্তরাষ্ট্রের সাথে বাণিজ্য আরো জোরদার করতে চায় ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই। বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের বিনিয়োগকারীর সংখ্যা বাড়ানোর পাশাপাশি প্রচলিত পণ্যের সাথে অপ্রচলিত পণ্য রপ্তানী বাড়াতে দেশটির সাথে কাজ করার ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করেছে বাণিজ্য সংগঠনটি। বুধবার (২৩ আগস্ট) দুপুরে ঢাকাস্থ যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসের কমার্শিয়াল কাউন্সেলর জন ফের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে এই আগ্রহের কথা জানান এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি মাহবুবুল আলম।

এ সময় এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি বলেন, ‘দীর্ঘ ৫০ বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্রের সাথে বাংলাদেশের ভাল সম্পর্ক রয়েছে ও ক্রমেই তা আরো জোরদার হচ্ছে। দুই দেশই কূটনৈতিক সম্পর্কের সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন করেছে। করোনা ভাইরাস মহামারির সময়ে যুক্তরাষ্ট্র টিকা থেকে শুরু করে অন্যান্য চিকিৎসা সরঞ্জামাদি দিয়ে বাংলাদেশের পাশে থেকেছে। গেল বছরগুলোতেও যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতা অব্যাহত ছিল। এখন সময় এসেছে, দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য আরো জোরদার করার।’

মাহবুবুল আলম আরো বলেন, ‘আমাদের প্রধান রপ্তানি পণ্যের মধ্যে তৈরি পোশাক, সূতা, বস্ত্র, চামড়াজাত পণ্য, কৃষি ও হিমায়িত খাদ্য রপ্তানীর বেশিরভাগ যায় যুক্তরাষ্ট্রে। যেহেতু, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের একক বৃহত্তম রপ্তানি গন্তব্য, তাই মূল্য সংযোজন ও সরবরাহ ব্যবস্থা জোরদারের মাধ্যমে যাতে উভয় দেশই লাভবান হতে পারে। সে জন্য মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) করার এখনই সময়।’

তিনি জানান, প্রধানমন্ত্রী ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নিয়েছেন; যেখানে পর্যাপ্ত বিদ্যুৎ ও গ্যাসের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানিগুলো এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশে তাদের কারখানা ও শিল্পাঞ্চল স্থাপন করতে পারে। গার্মেন্টস পণ্যের পাশাপাশি বাংলাদেশের আইটি পণ্য, পাটপণ্য, চামড়াজাত পণ্য ও মৎস্যসহ অপ্রচলিত পণ্য রপ্তানীতে ঢাকাস্থ যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসের সহায়তা চায় এফবিসিসিআই। পাশাপাশি, চতুর্থ শিল্প বিল্পব মোকাবিলায় উদ্ভাবন, গবেষণা ও প্রযুক্তিগত দক্ষতা কাজে লাগাতে যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা চান এফবিসিসিআই সভাপতি।

জন ফে বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে অন্যতম বৃহত্তর বিনিয়োগকারী দেশ। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক অনেক কোম্পানি বাংলাদেশে সফলভাবে ব্যবসায় করছে।’

ব্যবসায়িক সম্পর্ক জোরদারে দেশটির বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও দূতাবাস একযোগে কাজ করেছে বলে জানান তিনি। এ সময় বাংলাদেশের সার্বিক উন্নয়নের প্রশংসা করেন জন ফে।

এফবিসিসিআই ইনোভেশন ও রিসার্চ সেন্টারের কার্যক্রমকে গতিশীল করতে এফবিসিসিআইয়ের পক্ষ থেকে যুক্তরাষ্ট্রের জ্ঞান, দক্ষতা ও কারিগরি সহযোগিতা কামনা করা হয়।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআইয়ের সহসভাপতি খাইরুল হুদা (চপল), যশোদা জীবন দেবনাথ, রাশেদুল হোসেন চৌধুরী (রনি), মুনির হোসেন, পরিচালক মো. সাইফুল ইসলাম, মহাসচিব মো. আলমগীর প্রমুখ।