ওয়াশিংটন ডিসি, যুক্তরাষ্ট্র: আগামী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন যেন অবাদ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য হয়, তার জন্য বাংলাদেশকে চাপে রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র। এরই মধ্যে গণতন্ত্র ও নির্বাচনি প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য দায়ী ব্যক্তিদের ওপর আনুষ্ঠানিক ভিসা নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার এ সিদ্ধান্তের কথা জানান। তবে, কোন ব্যক্তির নাম প্রকাশ করেনি যুক্তরাষ্ট্র।
আরও পড়ুন যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নিষেধাজ্ঞা নিয়ে আমরা মাথা ঘামাচ্ছি না : আল জাজিরাকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী
কেন ভিসা নিষেধাজ্ঞা ব্যক্তিদের নাম প্রকাশ করা হয় না- এ ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী সেক্রেটারি ডোনাল্ড লু বলেন, ‘ভিসানীতির আওতায় ভিসা নিষেধাজ্ঞা যাদের দেয়া হবে, তাদের নাম প্রকাশ করা হয় না। কারণ, কাউকে ভিসা না দেয়াসহ যে কোন ভিসা রেকর্ড যুক্তরাষ্ট্রের আইন অনুযায়ী গোপনীয় তথ্য।’
তিনি আরো বলেন, ‘সাক্ষ্যপ্রমাণ ভালভাবে পর্যালোচনা করার পর আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, ক্ষমতাসীন দল ও বিরোধী রাজনৈতিক দলের সদস্যদের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।’
এই নীতির উদ্দেশ্য হল- সহিংসতা কমানো এবং অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করে- এমন যে কোন কর্মকাণ্ড প্রতিরোধ করার মাধ্যমে বাংলাদেশের জনগণের গঠনমূলক অংশীদার হওয়া।
এর আগে গেল ২৪ মে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের জন্য একটি নতুন ভিসানীতি ঘোষণা দেয়।
ঘোষণা অনুযায়ী, নির্বাচনে কারচুপি, ভীতি প্রদর্শন এবং নাগরিক ও গণমাধ্যমের বাকস্বাধীনতায় যারা বাধা দেবে, তাদের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নিষেধাজ্ঞা দেয়া হতে পারে।