রামপাল, বাগেরহাট: রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র (কয়লাভিত্তিক মৈত্রী সুপার থার্মাল পাওয়ার প্ল্যান্ট) শনিবার (১৭ ডিসেম্বর) রাতে পরীক্ষামূলক উৎপাদন শুরু করেছে। এর মধ্যমে ইউনিট- এক থেকে জাতীয় গ্রিডে ৬৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ যোগ হচ্ছে। এর আগে, গত ১৫ আগস্ট প্রতিটি ৬৬০ মেগাওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন দুইটি (১৩২০ মেগাওয়াট) মৈত্রী সুপার থার্মাল পাওয়ার প্রকল্পের একটি ইউনিট- এক সফলভাবে জাতীয় গ্রিডের সাথে যুক্ত করা হয়। এটি তখন জাতীয় গ্রিডে ৯১ দশমিক সাত মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ করে।
প্রকল্পের একজন কর্মকর্তা সোমবার (১৯ ডিসেম্বর) জানান, ২০২৩ সালের জুনে ইউনিট- দুই থেকে জাতীয় গ্রিড আরো ৬৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ যুক্ত করা হবে।
বিআইএফপিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাঈদ একরাম উল্লাহ বলেন, ‘শনিবার (১৭ ডিসেম্বর) রাত থেকে ইউনিট- ১- এর পরীক্ষামূলক উৎপাদন শুরু হয়েছে, আমরা বাণিজ্যিকভাবে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু করেছি। এরই মধ্যে সব ধরনের কারিগরি কাজ শেষ হয়েছে। বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক জোরদারের পাশাপাশি এলাকার উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
আনুমানিক ১৬ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত এ প্রকল্পের দুইটি ইউনিট (প্রতিটি ৬৬০ মেগাওয়াট) থেকে মোট এক হাজার ৩২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্য রয়েছে।
প্রকল্পের উপ-ব্যবস্থাপক আনোয়ারুল আজিম বলেন, ‘প্রথম ইউনিট থেকে ৬৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হচ্ছে। এরই মধ্যে দ্বিতীয় ইউনিটের ৭৯ দশমিক ৩৫ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে ২০২৩ সালের জুনের মধ্যে বাকি কাজ শেষ হবে।
৬৬০ মেগাওয়াটের দুইটি (এক হাজার ৩২০) মেগাওয়াট কয়লাভিত্তিক তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি প্রায় দুই বিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যয়ে স্থাপন করা হচ্ছে এবং এটি খুলনা বিভাগের বাগেরহাট জেলার রামপালে অবস্থিত। প্রায় ৯১৫ দশমিক পাঁচ একর জমির উপর অবস্থিত এ প্ল্যান্ট থেকে উৎপাদিত শতভাগ বিদ্যুৎ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে সরবরাহ করা হবে। এ প্ল্যান্ট থেকে বিদ্যুৎ প্রেরণ ও বিতরণের জন্য, কারখানা থেকে খুলনা পর্যন্ত ২৩০ কেভি ডাবল সার্কিট লাইন এবং গোপালগঞ্জ পর্যন্ত ৪০০ কেভি ডাবল সার্কিট লাইন নির্মাণের কাজ এরই মধ্যে শেষ হয়েছে।