মঙ্গলবার, ০৪ মার্চ ২০২৫

শিরোনাম

রোজার নিয়ত সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ পাঁচ মাসয়ালা

মঙ্গলবার, মার্চ ৪, ২০২৫

প্রিন্ট করুন

মুফতি জাকারিয়া হারুন: রমজান মাস বছরের শ্রেষ্ঠ মাস। রমজান মাস কুরআন নাযিলের মাস। পবিত্র কুরআন মানবতার মুক্তির সনদ। সুন্দরভাবে রমজান মাস কাটানো প্রতিটি মুমিনের আরাধ্য স্বপ্ন। রসুল (সা.) রমজানে বেশি এত বেশি ইবাদত করতেন যে, তাঁর পা ফুলে যেত। হাদিসে এসেছে, রমজানের শেষ দশকে তিনি কোমরে কাপড় বেঁধে ইবাদতে মগ্ন হতেন ও পরিবারকে জাগিয়ে দিতেন।

রোজার নিয়ত করা ফরজ।

নিয়তের অর্থ অন্তরের সংকল্প যেমন মনে মনে এভাবে সংকল্প করবে আমি আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে রোজা রাখার নিয়ত করলাম। নিহতের জন্য অন্তরের সংকল্প যথেষ্ট মুখে বলা জরুরি নয়। রোজার উদ্দেশ্যে সেহরি খেলে সেটিও রোজার নিয়তের জন্য যথেষ্ট। (আল বাহরুর রায়েক ২/২৫৯, ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/১৯৫)

আজকে আমরা জানবো- রোজার নিয়ত সংক্রান্ত ৫টি মাসয়ালা:

আরবি নিয়ত জরুরি নয়, উত্তমও নয় আরবি নিয়তে পৃথক কোনো সওয়াবও নেই।

রমজানের রোজার নিয়ত রাতে করাই উত্তম। তবে যাহাওয়াতুল কুবরা অর্থাৎ সুবহে সাদিক থেকে সূর্যাস্তের ঠিক মধ্যবর্তী সময়ের আগে আগে নিয়ত করলেও রোজা হয়ে যাবে। এরচেয়ে বিলম্বে নিয়ত করলে সেই রোজা সহিহ হবে না।
আব্দুল করিম জাজারি বলেন, কিছু লোক সকালে চাঁদ দেখার সাক্ষ্য দিল, তখন ওমর ইবনে আবদুল আজিজ রহ. বললেন, যে ব্যক্তি ইতিমধ্যে কিছু খেয়েছে সে বাকি দিন খাওয়া থেকে বিরত থাকবে। আর যে খায়নি সে বাকি দিন রোজা রাখবে। (আলমুহাল্লা ৪/২৯৩, ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/১৯৬)

পুরো রমজানের জন্য একত্রে নিয়ত করা যথেষ্ট নয় বরং প্রতিদিনের রোজার জন্য সেদিনই নিয়ত করতে হবে। কারণ প্রতিটি রোজা ভিন্ন ভিন্ন ইবাদত আর প্রতিটি আমলের জন্যই নিয়ত জরুরি। হাদিসে এসেছে সকল আমল নিয়তের উপর নির্ভরশীল। (বুখারি ১/২, ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/১৯৫)

রাতে রমজানের নিয়ত করার পরও সুবহে সাদিকের আগপর্যন্ত পানাহার ও স্ত্রী মিলন জায়েয; এতে নিয়তের কোনো ক্ষতি হবে না।

রোজার নিয়ত করার আগেই যদি কেউ অজ্ঞান অথবা পাগল হয়ে যায় এবং নিয়তের শেষ সময় অর্থাৎ যাহওয়াতুল কুবরার আগে সুস্থ না হয়, তাহলে তার অনাহারে থাকা রোজা হিসেবে ধর্তব্য হবে না পরবর্তী সময়ে সুস্থ হওয়ার পরে রোজা কাজা করতে হবে। (ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/১৯৬)