ওয়াশিংটন, যুক্তরাষ্ট্র: মায়ানমারের অভ্যন্তরে ও বাইরের রোহিঙ্গাদের এবং বাংলাদেশে আশ্রয়দানকারী গোষ্ঠীর জন্য ১৭০ মিলিয়ন ডলারেরও বেশি মানবিক সহায়তা ঘোষণা করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
শুক্রবার (২৩ সেপ্টেম্বর) মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রী অ্যান্টনি জে ব্লিঙ্কেন বিবৃতিতে বলেছেন, ‘বিশেষ করে বাংলাদেশে কর্মসূচিগুলোর জন্য প্রায় ১৩৮ মিলিয়ন ডলার দেয়া হবে। এ কর্মসূচির অধীনে মায়ানমারে গণহত্যা, মানবতাবিরোধী অপরাধ ও জাতিগত নির্মূল অভিযান থেকে বেঁচে যাওয়া নয় লাখ ৪০ হাজারেরও বেশি রোহিঙ্গাদের জীবনরক্ষামূলক উদ্যোগ ও বাংলাদেশে তাদেরকে আশ্রয়দানকারী গোষ্ঠীর পাঁচ লাখ ৪০ হাজার সদসস্যের জন্য এ সহায়তা দেয়া হচ্ছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘নতুন এ সহায়তা খাদ্য, নিরাপদ পানি, স্বাস্থ্য সেবা, সুরক্ষা, শিক্ষা, আশ্রয় ও মানসিক-সামাজিক সহায়তার ব্যবস্থা করতে সক্ষম হবে।’
ব্লিঙ্কেন বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের সরকার ও জনগণসহ এ অঞ্চলে রোহিঙ্গাদের আশ্রয়দানকারী অন্যান্য দেশের উদারতারও প্রশংসা করেছে।’
মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রী বলেছেন, ‘এ নতুন অর্থায়নের মাধ্যমে রোহিঙ্গা সংকট মোকাবেলায় যুক্তরাষ্ট্রের মোট সহায়তা ২০১৭ সালের আগস্ট থেকে প্রায় এক দশমিক নয় বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে। ২০১৭ সালে সাত লাখ ৪০ হাজারেরও বেশি রোহিঙ্গা মায়ানমার থেকে বাংলাদেশের কক্সবাজারে পালিয়ে আসতে বাধ্য হয়েছিল।’
অতিরিক্ত মানবিক সহায়তার মধ্যে স্টেট ডিপার্টমেন্ট কর্তৃক ৯৩ মিলিয়ন ডলারের বেশি ও ইউএসএআইডির মাধ্যমে ৭৭ মিলিয়ন ডলারের বেশি বরাদ্দ করা হয়েছে।
ব্লিঙ্কেন বলেন, ‘স্বীকার করছি যে, বার্মার (মায়ানমার) পরিস্থিতি বর্তমানে বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের নিরাপদ, স্বেচ্ছায়, মর্যাদাপূর্ণ ও টেকসই প্রত্যাবর্তন এবং প্রত্যাবাসনের জন্য সহায়ক নয়। আমরা এ সমস্যার সমাধান খোঁজার জন্য বাংলাদেশ সরকার, রোহিঙ্গা ও বার্মার অভ্যন্তরের জনগণের সাথে কাজ করছি।’
তিনি মায়ানমারে সহিংসতার কারণে বিতাড়িত ও ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য মানবিক সহায়তা প্রদান ও সমর্থন বৃদ্ধির লক্ষ্যে অবদান রাখার জন্য অন্যান্য দাতাদের প্রতি আহবান জানান।
মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রী প্রতিনিয়ত রোহিঙ্গাদের জীবনরক্ষামূলক কাজ করার জন্য মানবিক সহায়তাকারী মার্কিন অংশীদারদেরও প্রশংসা করেছেন।