চন্দ্রগঞ্জ, লক্ষ্মীপুর: স্বাধীন বাংলাদেশের সাবেক স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী ও স্পিকার আব্দুল মালেক উকিলের সহকারী মোহরা, গেজেটধারী মুক্তিযোদ্ধা আবু বকর সিদ্দিকী মুহুরীর উপর দফায় দফায় হামলা মামলা ও নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে। শুধু তাই নয়, তার স্ত্রী ৬৫ বছরের বৃদ্ধা মনোয়ারা বেগম ও তাদের মেয়ে দুই সন্তানের জননী ফাতেমা বেগম রুমীকে মধ্য যুগীয় কায়দায় মারধর করা হয়েছে।
লক্ষ্মীপুরের চন্দ্রগঞ্জ থানার চরশাহী ইউনিয়নের আনামিয়া পণ্ডিত বাড়ির মৃত হাফেজ সেরাজুল হকের ছেলে আবু বকর সিদ্দিকী মুহুরীর সাথে একই এলাকার শাহজাহানের ছেলে কামরুল, আব্দুল, মৃত নাদরের জামানের ছেলে শাহজাহান, নুরুল ইসলাম খোকন, নুরুল ইসলামের স্ত্রী ছালেহা বেগম, শাহজাহানের স্ত্রী লাকি বেগমের দীর্ঘ দিন ধরে জায়গা জমি সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছিল। এ নিয়ে আদালতে প্রায় অর্ধ শতাধিক মামলা চলছে। আদালতে মামলা চলমান থাকা সত্বেও শাহজাহানের ছেলে কামরুলের ক্যাডার বাহিনী নিয়ে আবু বকর সিদ্দিকের পরিবারের উপর হামলা চালায়। এ সময় সোনার চেইন, কানের ঝুমকা, নগদ টাকা লুট করে নেয় ও ঘর দুয়ার, বেড়া, আলমারী শোকেচ ভাংচুর করে হামলাকারীরা।
১৯১৯ সাল থেকে শাহজাহানের বাপ-দাদার অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে আনামিয়া পন্ডিত আব্দুল মজিদগংদের বিবাদী করে প্রথম আদালতে দেওয়ানি মামলা দায়ের করেন। এরপর দফায় দফায় অন্যায় অত্যাচার জোর জুলুম ও নির্যাতনের শিকার হয়ে আনামিয়া ও তার অলি ওয়ারিশরা আদালতে শরণাপন্ন হয়ে ৪৯টি মামলা করেন। পরে তারা কারাগার থেকে জামিনে বেরিয়ে লুটপাট, মারধর, ভাঙচুর ও হামলা-মামলায় চালিয়ে আসছে।
শাজাহান, নুরুল ইসলাম খোকন ও তাদের ছেলে আব্দুল, কামরুল সন্ত্রাসী ক্যাডার বাহিনী লালন করে চরশাহী ইউনিয়নে ত্রাসত্ব কায়েম করছে। নোয়াখালী ও লক্ষ্মীপুর সীমান্তবর্তী বাড়ি হওয়ায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নজর সহজে ফাঁকি দিতে পারে বিধায় তারা আবু বক্কর সিদ্দিকের পরিবারের উপর অন্যায় অত্যাচার করে আসছে। মিথ্যা, উদ্দেশ্য প্রণোদিত মামলা দিয়ে হয়রানি করে করছে।