যুক্তরাষ্ট্র: যুক্তরাষ্ট্রের লাাগোর্ডিয়া কমিউনিটি কলেজের ১৭ বাংলাদেশি শিক্ষার্থীর ভিসা বাতিল করেছে হোমল্যান্ড সিকিউরিটি। এ সংখ্যাটি এপ্রিল মাসেরই। ইমিগ্রেশন ডিপার্টমেন্ট থেকে কলেজে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘উল্লেখিত শিক্ষার্থীদের গতিবিধি সন্দেহজনক হওয়ায় এফ- ১ (স্টুডেন্ট ভিসা) বাতিল করা হলো।’
কলেজ কর্তৃপক্ষ সংশ্লিষ্ঠ ছাত্রছাত্রীদের প্রাতিষ্ঠানিক ই-মেইলে ভিসা বাতিল সংক্রান্ত ইমেইল পাঠিয়েছে। এ খবরটি জানাজানি হওয়ার পর লাগোর্ডিয়া কমিউনিটি কলেজসহ সিটির অন্যান্য কলেজগুলোতে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। গত ৩ মাসে ৫ হাজার আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীর ভিসা বাতিল করেছেন বলে সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন সেক্রেটারি অব স্টেট মার্ক রুবিও।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন ভূক্তভোগী শিক্ষার্থী বলেন, ‘গত ১৭ এপ্রিল কলেজ থেকে ভিসা বাতিল সংক্রান্ত ই-মেইল পাই। সাথে সাথে কলেজে যোগাযোগ করি। এমনকি কলেজে যেতে চাই। তারা কলেজে না যেতে পরামর্শ দেন।’
লার্গোডিয়া কমিউনিটি কলেজ সেনচুয়ারি ক্যাম্পাস না হওয়ায় আইনশৃঙ্কলা বাহিনীর হাতে গ্রেফতার হওয়ার সম্ভাবনার কথা বলেন তারা।
‘কলেজ কর্তৃপক্ষ একজন এটর্নির নাম ও টেলিফোন নাম্বার দিয়ে তার কাছ থেকে পরামর্শ নেওয়ার কথা বলেন। আমি এটর্নিকে কল করেছি।’
বাংলাদেশি এই শিক্ষার্থী বলেন, ‘৩ বছর আগে লাখ লাখ টাকা খরচ করে এ দেশে এসেছি। সুন্দর ও উজ্জ্বল একটি ভবিষ্যতের আকাঙ্খা ছিল। দেশে স্ত্রী ও সন্তান রেখে এ দেশে লেখাপড়া করছিলাম। সবই ঠিকঠাক চলছিল। আগামী জানুয়ারিতে কম্পিউটার সায়েন্সে ডিগ্রী নেওয়ার কথা ছিল। এখন ঘর থেকেই বের হতে পারছি না। কখন গ্রেফতার হই এই আতঙ্কে দিনাতিপাত করছি। ৩ বছরে প্রায় ১ কোটি টাকা খরচ করেছি। দেশে ফিরে গেলে কোন ডিগ্রী হাতে থাকবে না। আর দেশে গিয়ে কি করবো।’
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এটর্নির সাথে পরামর্শ করে আইনী লড়াইটি চালিয়ে যেতে চাই। তারপর দেশে ফেরার পর সিদ্ধান্ত নেব।’