ঢাকা: পবিত্র রমজানে ইফতারির অন্যতম অনুষঙ্গ লেবু। রোজার আগে থেকেই ঊর্ধ্বমুখী পণ্যটির দাম। হালিতে বেড়েছে কয়েকগুণ। তুলনামূলক ছোট আকারের লেবু কিনতে গিয়েও চোখে পানি ঝরছে ক্রেতাদের। সেইসঙ্গে চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে শসা ও বেগুনও।
শুক্রবার (৭ মার্চ) রাজধানীর কারওয়ানবাজার ও হাতিরপুল কাঁচাবাজারসহ বেশ কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা যায়, খুচরা পর্যায়ে প্রতি হালি লেবু বিক্রি হচ্ছে ৮০-১০০ টাকায়। কোথাও কোথাও সেটি চাওয়া হচ্ছে ১২০ টাকা পর্যন্ত।
ক্রেতারা বলছেন, ‘ইফতারিতে বহুল ব্যবহৃত একটি পণ্য লেবু। সিন্ডিকেট করে সেটির দাম বাড়িয়েছে ব্যবসায়ীরা। রোজার মাসেও তাদের দৌরাত্ম্য কমেনি।’
মোস্তফা নামেক্রেতা বলেন, ‘এক পিস লেবুর দাম কীভাবে ২৫ টাকা হয়! এটি ব্যবসায়ীদের কারসাজি। তারা সিন্ডিকেট করে দাম বাড়িয়ে ভোক্তার পকেট কাটছেন।’
খুচরা বিক্রেতারা বলছেন, ‘লেবুর সংকট ও চাহিদা থাকায় দাম কমেনি।’
রাজধানীর কারওয়ানবাজারের লেবু বিক্রেতা জাকের বলেন, ‘মোকামেই লেবুর দাম বেশি। পাইকারিতে লেবু কিনতে হচ্ছে ১০-১৫ টাকা পিস। খুচরায় সেটি বিক্রি হচ্ছে ২০-২৫ টাকা পর্যন্ত।’
আরেক ব্যবসায়ী স্বাধীন মিয়া বলেন, ‘লেবুর দাম বাড়তি থাকায় কমে গেছে বেচাকেনাও। মানুষ প্রয়োজনের তুলনায় কম কিনছেন। দামও বলছেন কম। অনেকেই হালি বলছেন ৩০-৪০ টাকা। তবে এই দামে কিনতেও পারিনি।’
খুচরা পর্যায়ে প্রতি হালি লেবু ৮০-১০০ টাকায় বিক্রি হলেও রাজধানীর কারওয়ানবাজারের আড়তদার ও পাইকারি ব্যবসায়ীরা জানান, আড়তে প্রতি হালি লেবু বিক্রি হচ্ছে ৩৬-৪০ টাকায়। আর ১০০ পিস লেবু বিক্রি হচ্ছে ৯০০-১১০০ টাকায়।
লেবু ব্যবসায়ী হাসিব বলেন, ‘বৃষ্টির অভাবে লেবুর ফলন কম হয়েছে। এতে কিছুটা সংকট দেখা দেয়ায় দাম বেড়েছে। এছাড়া রমজানের বাড়তি চাহিদাও রয়েছে।’
এদিকে বাজারে চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে ইফতারির অন্যতম অনুষঙ্গ বেগুন ও শসাও। প্রতি কেজি শসা বিক্রি হচ্ছে ৪০-৬০ টাকায়। আর বেগুন প্রতি কেজিতে বিক্রি হচ্ছে ৮০-১২০ টাকায়, যা কোথাও কোথাও চাওয়া হচ্ছে ১৪০ থেকে ১৬০ টাকা পর্যন্ত।