রবিবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪

শিরোনাম

লোহিত সাগরে হুতিদের চার ড্রোন ভূপাতিত করল যুক্তরাষ্ট্র

সোমবার, ডিসেম্বর ২৫, ২০২৩

প্রিন্ট করুন

ইয়েমেন: লোহিত সাগরের দক্ষিণাঞ্চলে নিজেদের ডেস্ট্রয়ারের দিকে উড়ে আসা চারটি ড্রোন ভূপাতিত করেছে যুক্তরাষ্ট্র। ইয়েমেনের হুথি নিয়ন্ত্রিত এলাকা থেকে শনিবার (২৩ ডিসেম্বর) এসব ড্রোন উড্ডয়ন করা হয়। যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনীর সেন্ট্রাল কমান্ড (সেন্টকম) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) পোস্ট করে এ তথ্য জানিয়েছে।

ওই পোস্টে সেন্টকম লিখেছে, ‘গেল ১৭ অক্টোবরের পর থেকে এখন পর্যন্ত এই হামলা ছিল বাণিজ্যিক নৌপথে হুতিদের ১৪ ও ১৫তম হামলা।

ইরান সমর্থিত হুতিদের নিয়ন্ত্রণে আছে ইয়েমেনের বেশিরভাগ ভূখণ্ড। লোহিত সাগরের দক্ষিণ প্রান্তে বাব আল-মান্দাব প্রণালি পাড়ি দেয়া বাণিজ্যিক জাহাজ লক্ষ্য করে কয়েক সপ্তাহ ধরে হুতিরা হামলা চালিয়ে আসছে। এতে বিঘ্নিত হচ্ছে বিশ্ব বাণিজ্য। গাজায় ইসরায়েলের হামলার জেরে হুতিরা ইসরায়েলমুখী কিংবা ইসরায়েলের পতাকাবাহী যে কোন জাহাজেই হামলা চালানোর হুমকি দিয়েছে।

সেন্টকম আরো জানিয়েছে, হামলার শিকার হওয়ার কথা জানিয়ে দুটি জাহাজ সহযোগিতার আবেদন জানালে যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনী তাতে সাড়া দেয়।

এক্সে সেন্টকম লিখেছে, ‘নরওয়ের পতাকাবাহী ও মালিকানাধীন রাসায়নিক/তেল ট্যাংকার ব্লামানেন হুতি ড্রোন হামলা থেকে অল্পের জন্য বেঁচে গেছে। আর গ্যাবনের মালিকানাধীন ভারতীয় পতাকাবাহী অশোধিত তেলের ট্যাংকার ওয়ান ওয়ে ড্রোন হামলার শিকার হওয়ার কথা জানিয়েছে।’

ব্লামানেনের পরিচালনা কোম্পানি হানসা ট্যাংকারস রোববার (২৪ ডিসেম্বর) বিবৃতিতে বলেছে, ‘ভারতীয় ট্যাংকারটি নরওয়ের একটি জাহাজের সামনে ছিল। সে সময়ে এটিতে ড্রোন হামলা হয়। সে সময় যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনীকে সঙ্কেত দেয়া হলে তারা সুরক্ষার জন্য এগিয়ে আসে।’

কোম্পানিটি আরো জানায়, ইয়েমেন থেকে হুতিদের দুটি জাহাজবিধ্বংসী ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রও দক্ষিণ লোহিত সাগরের আন্তর্জাতিক নৌপথ লক্ষ্য করে ছোড়া হয়েছে। তবে, এতে জাহাজের কোন ক্ষয়ক্ষতি হওয়ার সংবাদ পাওয়া যায়নি। এরমধ্যে যুক্তরাষ্ট্র ওই অঞ্চলে ‘অপারেশন প্রস্প্যারিটি গার্ডিয়ান’ শুরু করেছে। এক ডজনেরও বেশি দেশ এ অভিযানে অংশ নিতে রাজি হয়েছে বলে জানিয়েছে তারা।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী লয়েড অস্টিন জানিয়েছিলেন, মঙ্গলবারই (১৯ ডিসেম্বর) লোহিত সাগরে বাণিজ্যিক জাহাজ চলাচলের সুরক্ষায় একাধিক দেশের জোট গঠন করে এই যৌথ টহলদারি অভিযানের (অপারেশন প্রস্প্যারিটি গার্ডিয়ান) সিদ্ধান্ত হয়।