ঢাকা: আগারগাঁও থেকে মতিঝিল পর্যন্ত বহু প্রতিক্ষীত মেট্রোরেল সার্ভিসের দ্বিতীয় ধাপের উদ্বোধন শনিবার (৪ নভেম্বর) করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক এমএএন সিদ্দিক বলেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শনিবার (৪ নভেম্বর) দুপুর আড়াইটায় আগারগাঁও স্টেশন থেকে আগারগাঁও-মতিঝিল অংশের উদ্বোধন করবেন। তারপর মতিঝিল স্টেশনে আরেকটি উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের জন্য তিনি মেট্রোরেল নিয়ে মতিঝিলের উদ্দেশে যাত্রা করবেন।’
তিনি আরো বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী এমআরটি লাইন-৫ (উত্তর রুট) নির্মাণ কাজেরও উদ্বোধন করবেন। এই লাইন হেমায়েতপুর থেকে ভাটারা হয়ে গাবতলী, মিরপুর-১০, গুলশান পর্যন্ত ২০ কিলোমিটার হবে। ৪১ হাজার ২৩৯ কোটি টাকার এই প্রকল্পের কাজ শেষ হবে ২০২৮ সালে।’
এমএএন সিদ্দিক বলেন, ‘উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের কারণে শনিবার (৪ নভেম্বর) উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত নিয়মিত মেট্রো চলাচল বন্ধ থাকবে।’
এর আগে গেল ২৮ ডিসেম্বর উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত মেট্রো রেলের প্রথম ধাপের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।
আগারগাঁও-মতিঝিল অংশে তিনটি স্টেশনে মেট্রোরেল থামবে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেছেন, ‘আগারগাঁও থেকে মতিঝিল সেকশনের দৈর্ঘ্য আট দশমিক ৭২ কিলোমিটার। ফার্মগেট-সচিবালয়-মতিঝিল স্টেশনে মেট্রোরেল থামবে।’
উত্তরা-মতিঝিল রুটে রোববার (৫ নভেম্বর) থেকে প্রতিদিন সকাল সাড়ে সাতটা থেকে সকাল সাড়ে ১১টা পর্যন্ত মেট্রো চলাচল করবে বলে মন্ত্রী জানান।
তিনি আরো জানান, সকাল সাড়ে ১১টার পর মতিঝিল-আগারগাঁও রুটে মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ থাকবে ও উত্তরা-আগারগাঁও সেকশনে রাত সাড়ে আটটা পর্যন্ত চলবে।
জনগনের সুবিধার কথা বিবেচনা করে মতিঝিল থেকে কমলাপুর পর্যন্ত এক দশমিক ১৬ কিলোমিটার পথ বাড়ানো হয়েছে জানিয়ে সেতু মন্ত্রী বলেন, ‘বর্ধিত অংশ ২০২৪ সালের জুনের মধ্যে শেষ হবে।’
প্রতিটি ট্রেন দুই ৩০০ যাত্রী নিয়ে ১০০ থেকে ১১০ কিলোমিটার গতিতে চলতে পারবে। তবে, বাঁকযুক্ত এলাকায় গতি কমে যাবে।
আওয়ামী লীগ সরকার ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার পর ঢাকার ওপর চাপ কমাতে নানা উদ্যোগ নেয়। যানজট নিরসনে রাজধানীজুড়ে মেট্রোরেল নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলে প্রকল্পের বিবরণে জানা গেছে।
মেট্রো রেল প্রতি ঘন্টায় ৬০ হাজার যাত্রী ও প্রতিদিন পাঁচ লাখ যাত্রী বহন করতে সক্ষম হবে ও প্রতি চার মিনিটে প্রতিটি স্টেশনে একটি ট্রেন আসবে।
জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা) মেট্রোরেল নির্মাণ করছে ও প্রকল্পে সহজ শতে ঋণ সহায়তা দিচ্ছে। জাইকা প্রকল্পের জন্য ১৯ হাজার ৫০০ কোটি টাকা দিয়েছে।