শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪

শিরোনাম

শাহরিয়ার কবির, মোজাম্মেল বাবু ও শ্যামল দত্তের সাত দিনের রিমান্ড

মঙ্গলবার, সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২৪

প্রিন্ট করুন

ঢাকা: আলাদা দুইটি খুনের মামলায় ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবির, একাত্তর টিভির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মোজাম্মেল বাবু ও দৈনিক ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্তকে সাত দিন করে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দিয়েছেন ঢাকার আদালত।

ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) মো. ছানাউল্যাহ মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) এ আদেশ দেন। রমনা থানায় করা খুনের মামলায় শাহরিয়ার কবির ও মোজাম্মেল বাবুকে দশ দিনের রিমান্ডে নেয়ার আবেদন করা হয়। ভাষানটেক থানায় করা খুনের মামলায় শ্যামল দত্তকে দশ দিন রিমান্ডে নেয়ার আবেদন করা হয়। উভয় পক্ষের শুনানি নিয়ে আদালত প্রত্যেককে সাত দিন করে রিমান্ডে নেয়ার আদেশ দেন।

এর পূর্বে মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সকাল নয়টার পর কড়া পুলিশ পাহারায় হেলমেট ও বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট পরিয়ে তাদেরকে আদালতে হাজির করা হয়।

সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সকালে ময়মনসিংহের ধোবাউড়া সীমান্ত হয়ে অবৈধভাবে ভারতে যাওয়ার সময় মোজাম্মেল বাবু ও শ্যামল দত্তকে আটক করেন এলাকাবাসী। পরে, তাদের পুলিশে দেন তারা। আর সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) মধ্যরাতে বনানীর বাসা থেকে গ্রেফতার করা হয় শাহরিয়ার কবিরকে।

ভাষানটেক এলাকায় ফজলু নামের যুবককে খুনের অভিযোগে শেখ হাসিনাসহ ১৬৪ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা হয়। গেল ১১ সেপ্টেম্বর ওই মামলা করেন নিহত ফজলুর ভাই মো. সবুজ। মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, ‘৫ আগস্ট ভাষানটেকের দিগন্ত ফিলিং স্টেশনের সামনে ছাত্র-জনতার জয় মিছিলে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন ফজলু। এ মামলায় শ্যামল দত্তকে গ্রেফতার দেখানো হয়।’

গেল ১৮ জুলাই বিকালে লিজা আক্তার নামের এক তরুণী সিদ্ধেশ্বরী নিউ সার্কুলার রোডের একটি ফ্ল্যাটের ১৪ তলায় অবস্থান করছিলেন। সেদিন ওই এলাকায় হেলিকপ্টার ব্যবহার করে শত শত সাউন্ড গ্রেনেড, কাঁদানে গ্যাসের শেল, রাবার বুলেট ও গুলি ছোড়া হয়। এতে লিজা গুলিবিদ্ধ হন। পরে ২২ জুলাই মারা যান। লিজা আক্তারের পিতা জয়নাল শিকদার বাদী হয়ে ৫ সেপ্টেম্বর রমনা থানায় শেখ হাসিনাসহ ১৭৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। এ মামলায় শাহরিয়ার কবির ও মোজাম্মেল বাবুকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।