ঢাকা: রাজনীতি করার অধিকার সবার আছে উল্লেখ করে শিক্ষা মন্ত্রী দীপু মনি বলেছেন, ‘তবে কে কোন দল করবেন কী করবেন না, তা তার নিজস্ব ব্যাপার। সুতরাং, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে রাজনীতি নিষিদ্ধ হতে পারে না।’
বুধবার (৭ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ শিক্ষা তথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরোতে (ব্যানবেইস) ইউনেসকো পার্টিসিপেশন প্রোগ্রামের চেক বিতরণ শেষে এ কথা বলেন তিনি।
শিক্ষা মন্ত্রী আরো বলেন, ‘রাজনীতি সব সময়ই ইতিবাচক। যেটি অধিকার সেটি তো নিষিদ্ধ করা যায় না। কিন্তু দলীয় রাজনীতি কেমন হবে- সেখানে শিক্ষার্থীদের মধ্যে সমঝোতা ও সৌহার্দ্য থাকা দরকার। নিজেদের মধ্যে বোঝাপড়া থাকা দরকার। দলীয় রাজনীতির নামে যেন কোন বিশৃঙ্খলা না হয়, সে দিকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কতৃপক্ষকে লক্ষ্য রাখতে হবে।’
সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে তিনি আরো বলেন, ‘রাজনীতি সচেতন হওয়া প্রত্যেকটি মানুষের জন্য জরুরী। বিশেষ করে শিক্ষার্থীরা, তারাই আমাদের ভবিষৎ; যে ভবিষৎ নেতৃত্ব গড়ে উঠবে একটি প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে।’
শিক্ষা মন্ত্রী বলেন, ‘রাজনীতি মানুষের অধিকার। বাংলাদেশে রাজনীতির যে অর্জন; ছাত্র রাজনীতি বিশেষ অবদান রেখেছে। আবার দেখা গেছে, যখন সামরিক স্বৈরাচারিরা ক্ষমতা দখল করেছে; অবৈধভাবে তারা আবার ছাত্র রাজনৈতিক ক্ষমতার অপব্যবহার করেছে, শিক্ষাঙ্গনকে অস্থিতিশীল করেছে, অস্ত্রের ঝনঝনানি দিয়ে রক্ত ঝরিয়েছে। দেশকে অস্থিতিশীল রেখে তাদের নিজেদের ইচ্ছেকে হাসিল করার জন্য ক্ষমতা আঁকড়ে থাকার রাজনীতিকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করেছে।’
তিনি বলেন, ‘গণতান্ত্রিক চর্চার বোধগুলো থেকেই দেশ গণতান্ত্রিক হয়ে উঠতে পারে। রাজনীতি মানুষকে সচেতন করে, তার দায়িত্ব-কর্তব্য সম্পর্কে সচেতন করে। রাজনীতি সেই দিকগুলো তো অবশ্যই আমাদের শিক্ষার্থীদের জন্য জরুরী বিষয়। রাজনীতি নিয়ে চর্চা করতে হবে। রাজনীতি নিয়ে আমরা চর্চা করব না, এক দিন হঠাৎ করে দেশ গণতান্ত্রিক হয়ে যাবে তাও সঠিক নয়।’
উল্লেখ্য, সম্প্রতি কয়েকটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র রাজনীতি নিয়ে কমিটি গঠন করা বিষয় উত্থাপিত হয়েছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্র রাজনীতি বিষয়ে নানা আলোচনা শুরু হয়।