ঢাকা: ফিলিস্তিনি শিক্ষার্থীদের জন্য স্নাতক ও স্নাতক পর্যায়ে ২০টি আসন বরাদ্দ দিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি)। শনিবার (৪ মে) ঢাবির উপাচার্য এএসএম মাকসুদ কামাল এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত ইউসুফ এসওয়াই রামাদানের বৈঠকের পর এ ঘোষণা দেয়া হয়।
সাক্ষাৎকালে তারা পারস্পরিক স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট ব্যাপারে আলোচনা করেন এবং ঢাবিতে ফিলিস্তিনের শিক্ষার্থী ভর্তির নানা ব্যাপারে মত বিনিময় করেন।
ঢাবির উপাচার্যের কাছে ফিলিস্তিনি শিক্ষার্থী বিশেষ করে ছাত্রীদের ভর্তির অনুমতি, বৃত্তি প্রদান ও আবাসনের ব্যবস্থা করার জন্য অনুরোধ জানান ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত।
তিনি বলেন, ‘১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর থেকেই শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশ ও ফিলিস্তিনের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক স্থাপনের উদ্যোগ নেন।’
রাষ্ট্রদূত আরো বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সব সময় ফিলিস্তিনের প্রতি সমর্থন দিয়ে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ফিলিস্তিনের জনগণের পাশে দাঁড়িয়েছেন।’
রাষ্ট্রদূতের প্রস্তাবের ভিত্তিতে ঢাবির উপাচার্য প্রতি বছর কমপক্ষে ২০ জন ফিলিস্তিনি মেধাবী শিক্ষার্থীকে ঢাবিতে ভর্তি এবং তাদের জন্য বৃত্তি ও আবাসন সুবিধা প্রদানের ব্যাপারে রাষ্ট্রদূতকে আশ্বস্ত করেন।
ঢাবিতে ফিলিস্তিনি শিক্ষার্থীদের ভর্তির জন্য রাষ্ট্রদূতকে ধন্যবাদ জানিয়ে উপাচার্য বলেন, ‘ঢাবির স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ে ফিলিস্তিনি শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সব ধরনের সহযোগিতা করবে।’
ফিলিস্তিনি জনগণের ওপর ইসরায়েলের বর্বর হামলা ও হত্যার তীব্র নিন্দা জানিয়ে দ্রুত যুদ্ধবিরতির দাবি জানান ঢাবির উপাচার্য।
ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আসা এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিলিস্তিনি ছাত্র ভর্তির আগ্রহ প্রকাশ করায় তাকে ধন্যবাদ জানান উপাচার্য।
বৈঠকে ঢাবির আর্থ অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্সেস অনুষদের ডিন প্রফেসর মো. জিল্লুর রহমান, রেজিস্ট্রার প্রবীর কুমার সরকার, ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্স অফিসের পরিচালক অধ্যাপক শামসাদ মর্তুজা ও জনসংযোগ দপ্তরের পরিচালক মাহমুদ আলম উপস্থিত ছিলেন।