ঢাকা: ‘তীব্র তাপপ্রবাহে যেখানে স্কুল কলেজ বন্ধ করবেন শিক্ষামন্ত্রী, সেখানে সেই স্কুল কলেজ বন্ধ করতে হয় আদালতকে। যে শিক্ষামন্ত্রী সাধারণ অভিভাবক ও কোমলমতি বাচ্চাদের কথা ভাবে না, সেই শিক্ষামন্ত্রীর আমরা পদত্যাগ চাই।’ শুধু ঘরের মধ্যে বসে না থেকে সাধারণ জনগণের কথা ভাবতে বললেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সাবেক চিফ হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুক।
মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে জিয়াউর রহমান সমাজকল্যাণ ফোরামের উদ্যোগে পুরো শে চলমান তীব্র দাবদাহে অতিষ্ঠ নগরীর পথচারীদের মাঝে খাবার পানি ও স্যালাইন বিতরণ কর্মসূচিতে তিনি এ দাবি জানান।
এতে জয়নুল আবদিন ফারুক আরো বলেন, ‘সরকারকে বলব পদত্যাগ করুন, দেশের মানুষকে বাঁচান। লুট করবেন আপনারা, দুর্নীতি করবেন আপনারা আর তার প্রভাব সাধারণ জনগণের ওপর পড়বে- এটা হতে পারে না। গেল ১৫ বছরের অন্যায় অত্যাচারের মধ্য দিয়ে এ সরকার ক্ষমতায় আছে। বিনা কারণে দেশের বহু মানুষকে গুম করেছে, খুন করেছে, অন্যায়ভাবে গ্রেফতার নির্যাতন করেছে। এ তাপপ্রবাহে আওয়ামী লীগ নিশ্চুপ বসে আছে কেন?’
তিনি বলেন, ‘শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার যে সিদ্ধান্ত তিনি নিয়েছেন, এর জন্য তার বিরুদ্ধে মামলা করা উচিত।’
অনুষ্ঠান থেকে তিনি শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের পদত্যাগ দাবি করেন।
জিয়াউর রহমান সমাজকল্যাণ ফোরামের সভাপতি মনজুর রহমান ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে এবং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সোহেল রানা ও সাংগঠনিক সম্পাদক এইচএম স্বপন রানার পরিচালনায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির তথ্য গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন নিশু, শিশু বিষয়ক সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ সিদ্দিকী, বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের সদস্য সচিব কাদের গনি চৌধুরী, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য নেসার, ওলামা দলের সিনিয়র যুগ্ন আহ্বায়ক আলমগীর হোসেন, ছাত্রদলের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আজমল হোসেন পাইলট, মৎস্যজীবী দলের সদস্য ইসমাঈল হোসেন সিরাজী, জিয়াউর রহমান সমাজকল্যাণ ফোরামের সহসভাপতি মো. মজিবুর রহমান, শামসুজ্জোহা, এসকে জুয়েল, খলিল মৃধা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জেসমিন জুই, সহ-সাধারণ সম্পাদক মো. শফিক, যুব বিষয়ক সম্পাদক মো. বরকত পাটোয়ারী, প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক মো. বেল্লাল পাটোয়ারী, জিসফের সদস্য মো. জাহাঙ্গীর ভূঁইয়া।