চট্টগ্রাম: ২০১৪ সালে পাশবিক নির্যাতনের পর পুড়িয়ে কেরোসিন ঢেলে শিশু রুনা হত্যাকান্ডের সঠিক বিচার ও মামলার বাদীর সন্ধান ও মামলার পুনঃতদন্তের দাবি করা হয়েছে। চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে সোমবার (১৮ এপ্রিল) ছয়টি মানবাধিকার সংগঠন যৌথ সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত উপস্থাপন করে এ দাবি করে।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান মানবাধিকার বাস্তবায়ন পরিষদের নেতা মো. সেলিম চৌধুরী।
লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, ‘২০১৪ সালের ২৯ নভেম্বর সিটির ১৩ নম্বর আইস ফ্যাক্টরির টিএম টাওয়ার চতুর্থ তলায় আমিন আহমেদ রোকনের ফ্ল্যাটে গৃহকর্মীর কাজ করত শিশু রুনা (১৪)। গৃহকর্তা রোকন তার উপর নানাভাবে বিভিন্ন সময় পাশবিক নির্যাতন চালায়।’
সংবাদ সম্মেলন জানানো হয়, ভুক্তভোগী রুনার মা ২০১৪ এর ২৯ নভেম্বর মেয়েকে দেখতে আসলে মেয়ে রুনা তার উপর চলা গৃহকর্তা রোকনের অন্যায় আচরণের কথা জানালে আসামি রোকন ক্ষিপ্ত হয়ে রুনাকে লাথি মারে। মায়ের সামনে মেয়েকে নির্যাতনের পর রান্না ঘরে নিয়ে গিয়ে গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দিলে রুনার শরীরের অধিকাংশই পুড়ে যায়। পরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালৈ দুই দিন চিকিৎসার পর সে মারা যায়। রুনার মা রোকেয়া বেগম বাদী হয়ে সদরঘাট থানায় হত্যা মামলা দায়ের করে। যার মামলা নম্বর ২৬ (১১)২০১৪।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, একমাত্র আসামী চন্দনাইশের আবদুল জব্বারের ছেলে আমিন উদ্দিন আহমেদ রোকন বর্তমান চন্দনাইশের জোয়ারা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান। নিজেকে স্থানীয় সাংসদের ভাগিনা পরিচয় দিয়ে সে অবৈধ ইটভাটা, জমি দখল, পাহাড় কাঠার মত অপরাধ অবাধে করে যাচ্ছে।’
সংবাদ সম্মেলনে ছয়টি মানবিকার সংস্থার পক্ষ থেকে সেলিম হোসেন চৌধুরী, মো. রফিকুল ইসলাম, মনসুর উল আলম সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন। মানবাধিকার বাস্তবায়ন কমিশন, বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন, বাংলাদেশ আইন ও শালিস কেন্দ্র, লিগ্যাল এইড কমিটি, কাশফুল সোসাল ডেভলাপমেন্ট সোসাইটি, নারী ও শিশু কল্যাণ ফাউন্ডেশন- সংবাদ সম্মেলন নিজেদের আইনের শাসন, ন্যায়বিচার ও মানবাধিকার সুরক্ষার দায়বদ্ধতা থেকে এ মামলার অবিলম্বে পুনঃ তদন্ত ও সুষ্ঠু বিচারের মাধ্যমে আসামি রোকনের যথোপযুক্ত শাস্তি দাবি করেন।