বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪

শিরোনাম

শেখ মুজিবের নির্দেশে রমনা কালী মন্দির ভেঙে দেয়া হয়েছিল

বুধবার, সেপ্টেম্বর ১১, ২০২৪

প্রিন্ট করুন

হাটহাজারী, চট্টগ্রাম: ১৯৭৩ সালে সৌন্দর্যবর্ধনের নামে শেখ মুজিবের নির্দেশে বুলডুজার দিয়ে রমনা কালী মন্দির ভেঙে দেয়া হয়েছিল বলে জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও প্রাক্তন মন্ত্রী গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।

মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) রাতে চট্টগ্রাম জেলার হাটহাজারী শ্রী শ্রী পুন্ডরীকধামে রাধাষ্টমীর অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। সেই সাথে সংখ্যালঘু কার্ড ব্যবহার করে আওয়ামী লীগকে কোন খেলতে দেয়া হবে না বলেও হুশিয়ারি দিয়েছেন বিএনপির এ নেতা।

প্রধান অতিথির বক্তৃতায় অনুষ্ঠানে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় আরো বলেন, ‘আওয়ামী লীগের রাজনীতি হচ্ছে বিভাজনের রাজনীতি। তারা সংখ্যালঘু বা সংখ্যাগুরু বিভাজনের মাধ্যমে সব সময় দেশে অস্থিতিশীল করে রাখার চেষ্টা করেছে। কিন্তু, হিন্দুদের সবচেয়ে ক্ষতি আওয়ামী লীগই করেছে। শেখ মুজিব ১৯৭৩ সালের ৩ মার্চ সেহারাওয়ার্দী উদ্যানের সৌন্দর্যবর্ধনের কথা বলে রমনা মন্দির গুড়িয়ে দিয়েছিল। আমি এটি শত ভাগ সত্য কথা বলছি। এ ব্যাপারে আমি চ্যালেঞ্জ করতে পারব। দেশ থেকে গেল ১৫ বছরে লাখ লাখ কোটি টাকা পাচার করা হল। কার টাকা পাচার করা হল? আমার আপনার টাকা পাচার করা হল। কারা করল? সব অপরাধের শাস্তি তাদের পেতে হবে। বিচার এ বাংলাদেশের মটিতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘ছাত্র-জনতাকে পাখির মত গুলি করে মারা হয়েছে। গেল ১৫ বছর মানুষ কথা বলতে পারেনি, ভোট দিতে পারেনি। সবকিছু একটি দল ও একটি পরিবার কেন্দ্রিক হয়ে পড়েছিল। কিন্তু, ৫ আগস্ট পরবর্তী আওয়ামী লীগের কাউকে মারা হয়েছে? তারা সাধারণ মানুষের ভয়ে পালিয়ে গিয়েছে। কারণ, তাদের রাজনীতি ছিল জনগণের বিরুদ্ধে ও শোষণের রাজনীতি। আমরা বিএনপির নেতা-কর্মীরা ভয় পাই না। আমরা জনগণের জন্য রাজনীতি করি। গেল ১৫ বছর কত মামলা, কত নির্যাতন করা হল। বিএনপির নেতা-কর্মীরা কষ্ট করে তাদের আন্দোলন চালিয়ে গিয়েছে। কিন্তু, এ দেশ ছেড়ে পালিয়ে যায়নি। এটিই হচ্ছে দেশ ও জনগণের প্রতি বিএনপির কমিটমেন্ট। আমার বাড়িতে হামলা হয়েছিল আওয়ামী লীগের সময়। থানায় যাওয়া হল মামলা করতে। পুলিশ মামলা নেয়নি। কারণ কি? কারণ হচ্ছে হিন্দু হয়ে আমি কেন বিএনপি করি। প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান দেশের মানুষের কল্যাণে কাজ করেছেন বলে তিনি এত বেশি জনপ্রিয়। কিন্তু, একটি দলের নেত্রী জনরোষে পালিয়ে যেতে হয়েছে।’

অনুষ্ঠানের উদ্বোধক করেন বিএনপির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক (চট্টগ্রাম বিভাগ) মীর হেলাল।

সাংবাদিক বিপ্লব পার্থ ও প্রবর্তক শ্রীকৃষ্ণ মন্দিরের সদস্য স্বতন্ত্র গৌরাঙ্গ দাসের সঞ্চালনায় সভায় সভাপতিত্ব করেন পু-রীক বিদ্যানিধি স্মৃতি সংসদের সহ সভাপতি স্বপন চৌধুরী। স্বাগত দেন রাখেন পু-রীক বিদ্যানিধি স্মৃতি সংসদের সাধারণ সম্পাদক অশোক কুমার নাথ। আর্শীবাদক ছিলেন ইসকন প্রবর্তক শ্রীকৃষ্ণ মন্দিরের অধ্যক্ষ লীলারাজ গৌর দাস ব্রহ্মচারী, রামকৃষ্ণ মিশন ও মঠের প্রতিনিধি শ্রীমৎ স্বামী পূর্ণব্রতানন্দ মহারাজ, শ্রীমৎ পুলকানন্দ। প্রধান বক্তা ছিলেন পুন্ডরীক ধামের অধ্যক্ষ চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারী। বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এরশাদ উল্লাহ, প্রাক্তন যুগ্ম আহ্বায়ক এসএম সাইফুল ইসলাম, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শিক্ষক কুশল বরণ চক্রবর্তী, হাটহাজারী বিএনপির সদস্য সচিব গিয়াস উদ্দিন চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রীস্টান কল্যাণ ফ্রন্টের যুগ্ম মহাসচিব আরকে দাশ রুপু, সাংগঠনিক সম্পাদক রাজীব ধর তমাল, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা সংসদের সদস্য সচিব উজ্জ্বল বরণ বিশ্বাস, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা সংসদের সদস্য সচিব জুয়েল চক্রবর্তী, চট্টগ্রাম মহানগর শাখার সদস্য সচিব বাপ্পী দে, বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ ক্রীস্টান ঐক্য পরিষদ হাটহাজারী শাখার সভাপতি গৌবিন্দ প্রসাদ মহাজন।