রবিবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪

শিরোনাম

শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় মুহাম্মদ ইউনূসের জামিন

রবিবার, জানুয়ারী ২৮, ২০২৪

প্রিন্ট করুন

ঢাকা: শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় কারাদণ্ডের রায়ের বিরুদ্ধে শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালে আপিল করে জামিন পেয়েছেন গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান মুহাম্মদ ইউনূস। রোববার (২৮ জানুয়ারি) সকালে শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালে হাজির হয়ে আপিল করেন ইউনূস। একইসঙ্গে জামিন আবেদনও করেন।

আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করে, আপিল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত মুহাম্মদ ইউনূসকে জামিন দেন শ্রম আপিলেট ট্রাইবুনাল।

ইউনূসের আইনজীবী আবদুল্লাহ আল-মামুন এসব তথ্য জানিয়েছেন।

শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় ঢাকার শ্রম ও আদালত-৩-এ গেল ১ জানুয়ারি ছয় মাসের সাজা হয় মুহাম্মদ ইউনূসসহ চার আসামির।

গেল ১ জানুয়ারি ইউনূসসহ চারজনকে ছয় মাস করে কারাদণ্ড ও ৩০ হাজার টাকা করে জরিমানা করেন ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালত। সাজাপ্রাপ্ত অপর তিনজন হলেন গ্রামীণ টেলিকমের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আশরাফুল হাসান, পরিচালক নুর জাহান বেগম ও মো. শাহজাহান।

রায় ঘোষণার পর এক মাসের মধ্যে রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করার শর্তে ইউনূসের জামিন মঞ্জুর করেন আদালত।

রায়ের পর্যবেক্ষণে আদালত বলেন, ‘আসামিপক্ষ এক নম্বর আসামির ব্যাপারে প্রশংসাসূচক বক্তব্য উপস্থাপন করেছেন। যেখানে তাকে দারিদ্র্যের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা নোবেলজয়ী আন্তর্জাতিক ব্যক্তিত্ব বলা হয়েছে। কিন্তু, এ আদালতে নোবেলজয়ী ইউনূসের বিচার হচ্ছে না, গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান হিসেবে বিচার হচ্ছে।’

এ সময় আদালত বলেন, ‘ইউনূসের বিরুদ্ধে শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ প্রমাণিত।’

২০২১ সালের ৯ সেপ্টেম্বর মুহাম্মদ ইউনূস, আশরাফুল হাসান, নুর জাহান বেগম ও মো. শাহজাহানের বিরুদ্ধে মামলাটি করে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর।

মামলায় অভিযোগ আনা হয়, গ্রামীণ টেলিকমে শ্রমিক অংশগ্রহণ তহবিল ও কল্যাণ তহবিল গঠন করা হয়নি ও লভ্যাংশের পাঁচ শতাংশের সমপরিমাণ অর্থ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন আইনানুযায়ী গঠিত তহবিলে জমা দেয়া হয় না। এছাড়া, শ্রম আইন, ২০০৬ এবং বাংলাদেশ শ্রম বিধিমালা, ২০১৫ অনুযায়ী, গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিক বা কর্মচারীদের শিক্ষানবিশকাল পার হলেও তাদের নিয়োগ স্থায়ী করা হয়নি। প্রতিষ্ঠানে কর্মরত শ্রমিক বা কর্মচারীদের মজুরিসহ বার্ষিক ছুটি দেয়া, ছুটি নগদায়ন ও ছুটির বিপরীতে নগদ অর্থ দেয়া হয় না।

গেল ৬ জুন এ মামলায় ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। অভিযোগ গঠনের আদেশ বাতিল চেয়ে উচ্চ আদালতে আবেদন করেছিলেন ইউনূস ও অন্যরা। আপিল বিভাগ গেল ২০ আগস্ট সেই আবেদন চূড়ান্তভাবে খারিজ করে দেন।