ঢাকা: ঢাকায় সফররত যুক্তরাষ্ট্রের আন্ডার সেক্রেটারি উজরা জেয়া বলেছেন, ‘আসন্ন দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সংলাপ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র প্রত্যক্ষ হস্তক্ষেপ করবে না। বৃহস্পতিবার (১৩ জুলাই) দুপুরে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেনের সাথে সাক্ষাত শেষে তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীসহ সরকারের মন্ত্রীরা অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের বিষয়ে জোরালো প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্র সব সময় অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনকে সমর্থন করে। তবে, সংলাপের বিষয়ে বলব, এ ব্যাপারে আমাদের প্রত্যক্ষ কোন হস্তক্ষেপ থাকবে না।’
তিনি আরো বলেন, ‘বুধবার (১২ জুলাই) দুই রাজনৈতিক দল যে সমাবেশ করেছে, সেটা আমরা পর্যবেক্ষণ করেছি এবং সেখানে কোন সহিংসতার ঘটনা ঘটেনি। এটা একটা ভাল অনুশীলন। আমরা এটার পুনরাবৃত্তি দেখতে চাই।’
‘বাংলাদেশে কখন নির্বাচন হবে, সেটা বাংলাদেশই সিদ্ধান্ত নেবে।’ বলেন তিনি।
গেল পাঁচ দশক ধরে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে চমৎকার সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে উজরা জেয়া বলেন, ‘আমরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, আইন মন্ত্রী আনিসুল হক, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেনের সাথে দুই দেশের চমৎকার সম্পর্ক নিয়ে কথা বলেছি। যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের সাথে সম্পর্ক আরো গভীর করতে চায়।’
তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র সব সময় বাংলাদেশের মানুষের গণতন্ত্রে সমর্থন করে। গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানের ওপর নির্ভর করছে একটি সমৃদ্ধশালী দেশের ভবিষ্যত। নির্বাচনে বাংলাদেশের জনগণের অবাধ অংশগ্রহণের ওপর সেটা নির্ভর করছে।’
এ দিকে, বৈঠক শেষে পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন সাংবাদিকদের বলেন, ‘র্যাবের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের জন্য আমরা তার কাছে অনুরোধ জানিয়েছি।’
আসন্ন সংসদ নির্বাচন নিয়ে আলোচনা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনার নেতৃত্বে নির্বাচনের বিষয়ে সবচেয়ে গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে বলেও তাদের জানিয়েছি।’
পররাষ্ট্র সচিব বলেন, ‘উজরা জেয়া ও দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি ডোনাল্ড লুর সাথে আমাদের খুব উল্লেখযোগ্য একটি বৈঠক হয়েছে। বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রের সাথে বাংলাদেশের সম্পর্কের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। আমাদের রোহিঙ্গা ইস্যু ও মানবাধিকারসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে।’
সচিব বলেন, ‘উজরা জেয়া বুধবার (১২ জুলাই) রোহিঙ্গা ক্যাম্প দেখেছেন। তিনি সেখানকার সার্বিক বিষয়ে তার অভিজ্ঞতার কথা শেয়ার করেছেন। আমরা দেশের শ্রমিকদের অধিকার ও তাদের নিরাপত্তার বিষয়টি জানিয়েছি।’